উদারতা দেখাবে মিয়ানমার, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার উদারতা দেখাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘রোহিঙ্গা সংকট এবং আশ্রয় দেয়া দেশে প্রভাব’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফেরত নিয়েছে। দেশটির সরকার দ্রুত রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত নিয়ে নিজেদের উদারতার পরিচয় দেবে বলে আমি আশাবাদী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থনকারী দেশ রাশিয়া এবং চীনও এখন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায়। এ সমস্যা যেহেতু মিয়ানমার তৈরি করেছে, তাই তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মজুরি কমলেও বেড়েছে ব্যয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই। মিয়ানমারকে নিজ স্বার্থে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। তারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থাকলে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও ইউএনডিপি আয়োজিত এ কর্মশালার স্বাগত বক্তব্যে পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর বলেন, বিশ্বের ৫ শতাংশ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে। এসব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জোরালো চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বাংলাদেশ নিজেদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তবে এর ফলে অনেক সংকটেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দেশ হিসেবে ছোট হতে পারে বাংলাদেশ, তবে তাদের মন অনেক বড়। তাই এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানোর কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় একজন বক্তা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কারণে শুধু সাড়ে ৫ হাজার বন উজার হয়নি ১০ থেকে ১৫ মিটার পযর্ন্ত নেমেছে পানির স্তর। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে অস্থিতিশীল হতে পারে ক্যাম্প। যা রাখাইনে গড়ে ওঠা শিল্পকে টেকসইয়ে বাধা গ্রস্থ করবে। এজন্য মিয়ানমারকে যেকোনো উপায়ে ফেরত নিতে হবে রোহিঙ্গাদের।
পিআরআই’র গবেষণা পরিচালক ড. এম.এ. রাজ্জাক বলেন, রোহিঙ্গারা আসার পর কক্সবাজারের আর্থ-সামাজিক, ভৌগোলিকসহ নানা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। টেকনাফে একশ’ শতাংশ এবং উখিয়াতে ৮০ শতাংশ পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতি হয়েছে।