পারলে ড্রোন ধ্বংসের ভিডিও দেখাক, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের চ্যালেঞ্জ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি ইরানের কোনো ড্রোন ভূপাতিত হয়নি। মার্কিন কর্মকর্তারা মিথ্যাচার করছেন। তিনি বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হোসেইন সালামি আরো বলেন, এখন বিশ্বের কেউ প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বিশ্বাস করে না। তাদের উচিত দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করা। তারা পারলে ড্রোন ধ্বংসের ভিডিও ফুটেজ দেখাক এবং ড্রোনের অংশ হিসেবে প্রদর্শন করে প্রমাণ করুক সেটা ইরানি ড্রোন ছিল।
তিনি বলেন, তাদের মিথ্যা দাবি কেউ বিশ্বাস করবে না। হোসেইন সালামি আরো বলেন, আমেরিকা বড় ধরণের মিথ্যাচার করছে। তাদের দাবি যে মিথ্যা আমরা এর আগেই তার প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। তাদেরও উচিত দাবির পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করা। আমরাতো যা কিছু করেছি প্রমাণ দিয়েছি, তাদেরও উচিত প্রমাণ তুলে ধরা।
আইআরজিসির প্রধান বলেন, আমাদের ড্রোন তিন ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে পারস্য উপসাগরের আকাশে উড়েছে এবং পর্যবেক্ষণ তৎপরতা চালিয়েছে। বিশাল অঞ্চলে মোতায়েন জলযানগুলোর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সরাসরি আমাদের কাছে প্রেরণ করেছে। আমাদের ড্রোনের পাঠানো ভিডিও ফুটেজের একটা অংশ ইরানি জাতিসহ গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সেন্টকম'র কমান্ডার কেনেথ ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি ইরানের দু'টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করার পর তিনি তা নাকচ করলেন।
তিনি মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিবিএস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে কোনো দলিল-প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই ম্যাকেঞ্জি দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বাধীন মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী গত সপ্তাহে অন্তত দু’টি ইরানি পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার দাবি করেছিলেন, পারস্য উপসাগরে মোতায়েন মার্কিন রণতরী ইউএসএস বক্সার থেকে গুলি করে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
ট্রাম্পের এ দাবির পর শুক্রবার রাতেই ইরান মার্কিন রণতরী ইউএসএস বক্সারের আকাশে যে ড্রোনটি পাঠানো হয়েছিল তা থেকে সংগৃহীত ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়, আমেরিকা কোনো ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করতে পারেনি।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র পদস্থ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আবুলফজল শেকারচি জানান, ট্রাম্প যে ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করছেন সেটি নিজের দায়িত্ব পালন শেষে তার ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।