মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়ির সামনে ব্যবহৃত কনডম ফেলে উত্যক্ত

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভারতের বালুরঘাটের পাতিরাম এলাকার এক নারীর বাড়ির সামনে ব্যবহৃত কনডম ফেলে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম পরেশ পাল।

এ ঘটনায় বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করেছেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি জানান, মদ্যপানের পর সেই মদের বোতলও তার বাড়ির সামনে ভেঙে ফেলে রাখছেন পরেশ। 

ওই নারী থানায় জানিয়েছেন, কিছু দিন ধরে চলছে এ উৎপাত। এর আগেও তাকে উত্ত্যক্ত করেছেন পরেশ। সে সময় তিনি প্রসাশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে কোনো সুরাহা পাননি। বাধ্য হয়ে গতকাল আবারো বালুরঘাট থানা ও মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ  করেন তিনি।

 

পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ওই নারীর স্বামী সাত বছর আগে বৃন্দাবন চলে যান। তার একমাত্র ছেলেও মাস ছয়েক আগে বৃন্দাবনে চলে যায়। বৃন্দাবনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে সে।  আর তার বাবা পতিরামে ঘড়ির দোকান করে।

সেই দোকানের পাশে ঘড়িরই দোকান ছিল পাতিরামের বাহিচা এলাকার পরেশ পাল নামে এক ব্যক্তির। ওই নারীর অভিযোগ, ১০-১২ বছর আগে এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় পরেশ পাল তার ঘরে ঢোকে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। সে সময় কোনো মতে তিনি রক্ষা পান। সে ঘটনায় সালিশি বৈঠকও বসে।

পরেশকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সে বৈঠকে। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছিলেন পরেশ। তবে এতে সমস্যা কমেনি বরং আরো বেড়ে যায়। 

অভিযোগ উঠেছে, তারপর থেকে ওই নারীকে নানাভাবে হেনস্থা করতে শুরু করেন পরেশ। গত কয়েক দিন ধরে তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।ওই নারীর অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তার বাড়ি ও দোকানের সামনে ব্যবহৃত কনডম ফেলে দিচ্ছেন পরেশ। তাকে ভিটেমাটি ছাড়া করতে এই চক্রান্ত। কখনো মদ খেয়ে সেই বোতল তার বাড়ির সামনে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। স্বামী-সন্তান বাইরে থাকে। 

 

তাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে আবারো ওই নারীর বাড়ির সামনে ভাঙা মদের বোতল ও ব্যবহৃত কনডম ফেলে দেয়া হয়। এক প্রকার বাধ্য হয়েই গতকাল বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই নারী। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান পুলিশের কাছে। 

বালুরঘাট থানার পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে বলে সদর মহকুমা শাসকও ওই নারীকে আশ্বাস দেন ।