যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন ৮ নারী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ২৬ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচীত হওয়ার পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠণ করেছেন বোরিস জনসন। ব্রেক্সিটের পক্ষে অবস্থান নেয়া প্রভাবশালী কনজারভেটিভদের গুরুত্ব দিয়ে সাজিয়েছেন নতুন এই মন্ত্রীসভা।
নতুন গঠিত ৩১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ৮ নারী স্থান পেয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া ১২ জন ব্রেক্সিট সমর্থককে স্থান দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়, থেরেসা মে’র বেলায় যা ছিলো মাত্র ৬।
আনা হয়েছে কিছু রদবদল। আগের মন্ত্রিসভার ১৭ জনের স্থান হয়নি এই নতুন মন্ত্রিসভায়। এছাড়া কিছু নতুন মুখেরও আবির্ভাব ঘটেছে এবার।
নতুন মন্ত্রিসভায় সাজিদ সাভিদকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডমিনিক রাব ও প্রীতি প্যাটেলকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে যথাক্রমে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে।
চ্যান্সেলর অব দ্য ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টারের পাশাপাশি ‘চুক্তি ছাড়াই’ ব্রেক্সিট সম্পাদনের পরিকল্পনা সামলাতে হবে মাইকেল গোভকে।
বেন ওয়ালেস পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এসেছেন যথাক্রমে গেভিন উইলিয়ামসন ও নিকি মরগান।
আন্দ্রিয়া লিডসমকে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দায়িত্ব গেছে লিজ ট্রুসের হাতে।
কমন্সের লিডার করা হয়েছে টোরিদের ব্রেক্সিটপন্থি ইউরোপিয়ান রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) নেতা জ্যাকব রিস মগকে।
মে’র মন্ত্রিসভার স্টিফেন বার্কলে, ম্যাট হ্যানকক ও অ্যাম্বার রুডকে আগের পদেই বহাল রাখা হয়েছে।
জনসনের এ মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেখা গেলেও আনুপাতিক হারে নারীর সংখ্যা কম। মে’র ২৯ সদস্যের মন্ত্রিসভায় নারী ছিল ৩০ শতাংশ, জনসনেরটাতে ২৬ শতাংশ।
নেতৃত্ব দৌড়ে জনসনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্ট জানান, তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য দায়িত্ব দিতে চাইলেও তিনি রাজি হননি। তার পাশাপাশি শীর্ষ ব্রেক্সিটপন্থি হিসেবে পরিচিত পেনি মরডন্ট ও লিয়াম ফক্সকেও প্রতিরক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে জনসন কোনো অযুহাত ছাড়াই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হতে তিনি চেষ্টা চালাবেন, না হলে অক্টোবরের শেষে যুক্তরাজ্য চুক্তি ছাড়াই ইইউ ছাড়ছে।
এদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতারা বলছেন, জনসনের মন্ত্রিসভা যদি ‘চুক্তি ছাড়া’ ব্রেক্সিটের পথে অগ্রসর হয়, তাহলে তারাও যুক্তরাজ্যকে ইইউতে রাখতেই একাট্টা অবস্থান নেবেন।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেওন নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে স্কটল্যান্ডের আলাদা পরিকল্পনা আছে।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে গণভোট আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও চিঠিতে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।