১৬ বছর পর ফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার
পাঁচ কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ফেডারেল সরকার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই কয়েদিদের সাজা কার্যকরে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ।
এর ফলে দেশটিতে ১৬ বছর পর প্রথমবার কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে এই উদ্যোগের সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীও এর বিরোধিতা করেছেন। বিরোধী দল ডেমোক্রেট পার্টি এবং প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে সাজাপ্রাপ্ত ৫ কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় ঠিক করতে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর ও আগামী বছরের জানুয়ারিতে এদের দণ্ড কার্যকর করা হবে।
বার জানান, যে কয়েদিদের দণ্ড কার্যকর হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
“বিচার বিভাগ নিকৃষ্ট সব অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করে। আমরা আইনের শাসনকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে চাই,” বলেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৩ সালে ৫৩ বছর বয়সী লুইস জোনস জুনিয়রের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয়ভাবে এ ধরণের সাজা কার্যকরে অলিখিত স্থগিতাদেশ ছিল; বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের নতুন ঘোষণার মাধ্যমে তা প্রত্যাহার হল।
উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশ নেওয়া লুইস ১৯ বছর বয়সী সৈন্য ট্রেসি জো ম্যাকব্রাইডকে হত্যা করেছিলেন। ওই অপরাধে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়।
দেড় দশকেরও বেশি সময় বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা শুরু করলেও এতে ‘বিস্মিত’ নন ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশনের রবার্ট ডানহাম।
তিনি বলছেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সর্বোচ্চ সাজার কট্টর সমর্থক; তিনি মাদক বিক্রি এবং রাজ্য ও স্থানীয় পর্যায়ে যেসব খুনের ঘটনায় পুলিশ জড়িত সেগুলোসহ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডের বহুল ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন। সে কারণে মৃত্যুদণ্ড যে কার্যকর হচ্ছে, তাতে কোনো চমক নেই। এতদিন যে দেরি হয়েছে, সেটিই বরং বেশি চমকের।”
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন কাছাকাছি সময়ের মধ্যে পরপর ৫টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন বিচার ব্যবস্থায় যে কোনো অপরাধের বিচারই কেন্দ্র কিংবা অঙ্গরাজ্যের আদালতে চলতে পারে। তবে মুদ্রা জালিয়াতি কিংবা মেইল চুরির সুনির্দিষ্ট কিছু অপরাধের বিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কেন্দ্রীয় আদালতের এখতিয়ারে চলে যায়।