বিশ্ব মিডিয়া তোলপাড় করছে বাংলাদেশের ‘গল্লি বয়’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪২ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার
বছর দশেকের এক কিশোর রানা। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা মানুষের কাছে সে এখন ‘গল্লি বয়’ নামেই বেশি পরিচিত। থাকে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর এলাকার আট নম্বর গলিতে। সম্প্রতি তার গাওয়া র্যাপ গানের ভিডিও চমকে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। আর তাই এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশি মিডিয়াতেও খবরের শিরোনামে ঢাকাইয়া এই ‘গল্লি বয়’।
এদিকে, কলকাতার পত্রিকা ‘দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা’ রানা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যেখানে ফুল বিক্রেতা রানা থেকে কিভাবে ‘গল্লি বয় রানা’ হয়ে উঠেছে সেই কথাই বলা হয়েছে।
এছাড়া গল্লি বয়ের তৃতীয় আরো একটি গান ঈদের পরেই আসছে, সে কথাও বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। প্রথম ভিডিওতে রানার সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি গালি বয়দের জীবনচিত্র তুলে ধরেছিলেন গল্লি বয় এর র্যাপ গানের লেখক মাহমুদ হাসান তবীব। দ্বিতীয় ভিডিওতে রানাদের সমস্যা নিয়ে একরাশ প্রশ্ন সমাজের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টির মতো মৌলিক অধিকারের বিষয় নিয়ে সমাজের উদাসীনতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে তবীব-রানার ‘গালি বয়’।
এদিকে, চার ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রানা। তার জীবন এখনো বাস্তবের বেড়াজালে যেন আটকিয়ে আছে। রানার মা সিতারা বেগম বাসা-বাড়িতে রান্না-বান্নার কাজ করেন। রানা এখন অনেকের কাছেই পরিচিত মুখ হওয়ার বদৌলতে তাকে রাস্তায় দেখলে অনেকেই সেলফি তুলতে চায়। ছেলে এমন জনপ্রিয়তায় মা সিতারা বেগম বলেন, যখন তার সঙ্গে কেউ ছবি তুলতে চায় তখন আমার অনেক ভাল লাগে। তবে টাকার অভাবে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না।
এদিকে, রানার ইচ্ছে নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সে বলে, নিজের লেখা গানে কণ্ঠ দেয়ার ইচ্ছে আছে তার। এছাড়া স্কুলে যাওয়ারও ইচ্ছে আছে। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে কলেজ ভর্তি হওয়া এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে চায় সে।
ঢাকাইয়া ‘গল্লি বয়’ রানার র্যাপের ভিডিও গুলো:-