প্রথম দিনেই কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রথম দিন আজ। সকাল থেকেই ৭ আগস্টের টিকিট বিক্রি চলছে।
সোমবার সকাল ৯টায় থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও নাড়ির টানে ঘরে ফেরার জন্য রোববার রাত থেকেই স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। যার ফলে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এখন উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিনে, কাউন্টারের সামনে শুধু টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ আর মানুষ। লাইনে অপেক্ষারত কয়েকজন টিকেট প্রত্যাশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ১০ পর থেকে লাইনে আছেন তারা। কাউন্টারের সামনের ফাঁকা জায়গা ছাড়িয়ে ভিড়ের বিস্তৃতি স্টেশনের প্রবেশপথ পর্যন্ত।
ধূমকেতু ট্রেনের টিকিট পেতে অপেক্ষারত রবিন ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, সড়কপথের যানজট এড়াতে ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছি। রাত এখানেই কাটিয়েছি। এখন সকাল ১০ টায় টিকিট হাতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে।
এনামুল হক বলেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ এক জায়গায় অবস্থান করছি। জানিনা কখন পাবো টিকিট নামের সোনার হরিণ।
রেলওয়ে তথ্যমতে, জনগণের দুর্ভোগ কমাতে ঈদুল ফিতরের মত এবারো রাজধানীর পাঁচটি স্থান ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির করা হচ্ছে।
রাজধানীর পাঁচটি স্থান হলো-কমলাপুর, বিমানবন্দর তেজগাঁও, বনানী এবং ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন।
২৯ জুলাই দেয়া হবে ৭ আগস্টের টিকিট, ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে।
৫ আগস্টে দেয়া হবে ১৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট, ৬ আগস্ট ১৫ আগস্টের, ৭ আগস্ট ১৬ আগস্টের, ৮ আগস্ট ১৭ আগস্টের আর ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের টিকিট দেয়া হবে। একজন সর্বোচ্চ ৪টি করে টিকিট নিতে পারবেন।
এ বছর ৫০ ভাগ টিকিট অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হবে। কমলাপুরের ২৬টি কাউন্টারের মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য। প্রতিদিন দুই লাখ ৬০ হাজার যাত্রী রেলে ঢাকা ছাড়তে পারবেন।
এদিকে, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কমলাপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসেন রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভুলত্রুটির উর্ধ্বে এবার ঈদ যাত্রায় আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাবো।
তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত এক রাস্তা দিয়ে ট্রেন যাবে অন্য রাস্তা দিয়ে ট্রেন আসবে এরকম সিস্টেম চালু না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সিডিউল বিপর্যয় কম বেশি হবে।
অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, একসঙ্গে সবাই হিট করলে তো একটু ঝামেলা হতেই পারে, তবে আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, কমলাপুরসহ যে ৫ জায়গায় টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে প্রতিটি জায়গায় আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।