মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সোনা খুঁজতে গিয়ে খুন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

উত্তর ব্রাজিলে আমাজনের গভীর জঙ্গলে সোনার খোঁজে পা পড়েছে দুষ্কৃতীকারীদের। জঙ্গলে আদিবাসী অধ্যুষিত আমাপা প্রদেশ। এরই মধ্যে আচমকা সেখানে হানা দেয় বন্দুকধারীরা। কুপিয়ে হত্যা করেছে গ্রামের মোড়লকে।

সোনার খনির দখল নিয়ে সংঘর্ষ লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

অভিযোগ, ব্রাজিলের অতি-দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো-ই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তিনি জঙ্গল ও জঙ্গলবাসীদের সংরক্ষণের বিরুদ্ধে।

বলসোনারো মনে করেন, যত সংখ্যক মানুষের বসবাস, তার তুলনায় জঙ্গল অনেক বড়। তাই জঙ্গলের খনি এলাকা খুলে দিতে আপত্তি নেই তার। এমনকি বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে খননকাজ শুরু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি। 

সমালোচকদের দাবি, সেই সুযোগেই বেআইনি খননকাজ শুরু হয়ে গেছে আমাজনের জঙ্গলে। বিপন্ন জঙ্গলবাসীদের জীবন।

 

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল আমাপার ইভিটোটো গ্রামে হানা দেয়। ওয়াজাপি সম্প্রদায়ের বাস ওই গ্রামে। জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ৬ লাখ হেক্টর এলাকাজুড়ে ১২০০ ওয়াজাপি বাস করেন। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বহিরাগতদের দেখে ভয়ে ইভিটোটো গ্রাম ছেড়ে পালান সেখানকার বাসিন্দারা। কাছের মারিরি গ্রামে আশ্রয় নেন তারা। কাছের বলতেও পায়ে হেঁটে ৪০ মিনিটের দূরত্ব। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়াজাপিদের থেকে জানতে পারে, তাদের নেতা, ৬৮ বছর বয়সি এমিরা ওয়াজাপিকে খুন করেছে সোনা-সন্ধানীরা। তারা নদীর কাছে ফেলে রেখে যায় এমিরার দেহটা।  

সোনার দখল নিয়ে হালে ব্রাজিলে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, সে কথা অস্বীকার করছে না প্রশাসনও। কিন্তু এ ভাবে জঙ্গলে ঢুকে কোনো আদিবাসী নেতাকে খুন করার ঘটনা স্মরণকালে মনে পড়ছে না কারো। রোববার আমাপার ওই অঞ্চলে পৌঁছে যায় পুলিশ, সেনাবাহিনী। তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেনেটর রোডল্ফ রডরিগেজ় একটি ব্রাজিলীয় দৈনিককে বলেছেন, গত ৩০ বছরে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডবের ঘটনা এই প্রথম।