শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত খামারিরা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৯ বুধবার
কদিন পরই ১২ আগস্ট। এদিন ঈদুল আজহা। মুসলমানদের বাড়ি-বাড়ি পশু কোরবানি হবে। তবে এরআগেই পশু কেনার কাজটাও সেরে নিচ্ছেন সবাই। কেনার জন্য এসব পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরাও। শেষ মুহূর্তে খামারে পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন তারা।
হবিগঞ্জের খামারিরা নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই গরু মোটাতাজা করনে ব্যবহার করছেন গ্রামীণ পদ্ধতি। খাওয়াচ্ছেন হাওরের ঘাষ, খইল, ভূষি, কচুরিপানাসহ দেশীয় সব খাবার। জেলার ৯টি উপজেলায় ছোট বড় প্রায় শতাধিক গরুর খামার আছে।
খামারি মহসিন আহমেদ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে খামার পরিচালনা করছেন। এবারো তার খামারে ছোট বড় শতাধিক গরু রয়েছে। তাই তিনি শ্রমিকদের নিয়ে দিন রাত শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শহরতলীর নারায়নপুর গ্রামের খামারি অভি সরকার বলেন, কোন ধরনের ক্ষতিকারক ইনজেকশন অথবা ট্যাবলেট তিনি গরু মোটাতাজা করতে ব্যবহার করেন নাই। গাস খড় ও খইলের মাধ্যমে তিনি প্রায় ১৫টি গরু মোটাতাজা করেছেন। প্রতিটি গরু ৩০ থেকে ৫০ হাজারের মধ্যে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, খামারিরা যাতে করে ক্ষতিকারক ইনজেকশনের মাধ্যমে পশু হৃষ্টপুষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।