সন্তানের উপর প্রত্যাশার চাপ! সঠিক না ভুল?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:০০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯ বুধবার
সন্তানের উপর বাবা-মায়ের প্রত্যাশা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে সেই প্রত্যাশা এমনই হওয়া উচিত যাতে তা সন্তানের ক্ষতির কারণ না হয়। বাবা-মায়ের প্রত্যাশার এই অতিরিক্ত চাপ শিশুমনে যে কতটা প্রভাব ফেলে তা অনেকেই বোঝেন না। প্রতিযোগিতায় জেতার এই মনোভাব সন্তানের শৈশব, কৈশোরের আনন্দ ছিনিয়ে নেয়।
আবার এটাও ভুল নয় যে, প্রতিযোগিতা শিশুদের লড়াই করার শিক্ষা দেয়। সন্তানের সাফল্য এবং উন্নতি সব বাবা-মা চান। কিন্তু সবার আগে বুঝতে হবে নিজের সন্তানকেই। সব শিশুর মানসিকতা একরকম হয় না। সবাই এই চাপ সমানভাবে সামলাতেও পারে না।
সন্তানকে উচ্চ শিখরে নিতে চাওয়া বাবা-মায়েরা এমন চাপ সৃষ্টি করে ফেলেন যে শিশুরা ভুগতে থাকে মানসিক অবসাদে। নিজের উপর হারিয়ে ফেলে আস্থা। শিশুর উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি না করেও তাকে লড়াই করার জন্য তৈরি করা যায়। শুধু প্রয়োজন হয় সঠিক সমন্বয়ের। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই উপায়গুলো-
প্রতিযোগিতা মানেই শুধু জিতে যাওয়া নয়
সন্তানকে বোঝান প্রতিযোগিতা মানেই শুধু জিতে যাওয়া নয়। আসল উদ্দেশ্য কিছু শিখতে পারা। তাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সন্তানকে উৎসাহ দিন কিন্তু ফলাফলের জন্য উতলা হবেন না। ওর চেষ্টায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। ও যেটুকু পারে, যতটা পারে তাই নিয়েই সন্তুষ্ট হতে শেখান। না পারাটাও যে জীবনের অঙ্গ তা সন্তানকে বুঝতে সাহায্য করুন।
সন্তানের পছন্দের কাজ সমর্থন
সন্তানের যে কাজটা করতে ভালো লাগে, তাই করতে দিন। সবাই ক্লাসে প্রথম হতে পারে না। ওর প্রতিভা থাকতে পারে অন্য কিছুতে। ও যদি ভালো ফুটবল খেলে তো ওকে অযথা ক্রিকেট খেলতে চাপ দেবেন না। বরং যা সে ভালো পারে তাতে উৎসাহ দিন।
সন্তানকে সময় দেয়া
প্রত্যেক শিশুর সহজাত কিছু গুণ থাকে, তা চেনার চেষ্টা করুন। সন্তানের পজেটিভ এনার্জি যাতে ঠিকভাবে চালিত হয় তা দেখার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। আর সেইজন্য শিশুর সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটান।
তুলনা নয় বরং উৎসাহ প্রদান
কথায় কথায় সন্তানকে তার সমবয়সীদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। ওকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিন। পাশের বাসার ছেলেটি আঁকা শিখতে যায় কিংবা সন্তানের কাছের বন্ধু গান শেখে বলে আপনার সন্তানকেও যে তাই করতে হবে, এমন চিন্তা করবেন না। বরং ওর পছন্দের বিষয় জানার চেষ্টা করুন। আর সেটার চর্চা করতে ওকে সাহায্য করুন।
জোর না খাটানো
শিশুকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের গুরুত্ব অবশ্যই বোঝাবেন। কিন্তু সে যদি অংশ নিতে না চায়, তাহলে তাকে জোর করবেন না। এতে ফলাফল খুব ভালো হয় না।