মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারতে তিন তালাক এখন ফৌজদারি অপরাধ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:২২ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯ বুধবার

লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাস হলো বহুল আলোচিত তিন তালাক বিল। এখন রাষ্ট্রপতি সই করলেই তিন তালাক ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে এ অপরাধের জন্য শাস্তি হবে তিন বছরের কারাদণ্ড।

দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার বিলটি রাজ্যসভায় উঠলে পুনর্বিবেচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি ওঠে। তা নিয়ে ভোট শুরু হলে, বিলটি পুনর্বিবেচনার পক্ষে ভোট দেন ৮৪ জন আর বিপক্ষে ৯৯ জন। তাই বিনা বাধায় বিলটি পাস হয়।

এখন তিন তালাক বিলটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। তিনি তাতে সই করলেই সেটি আইনে পরিণত হবে। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথা ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তিন বছরের কারাদণ্ড হবে স্বামীর।

 

এদিকে বিলটি পাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, এত দিনে তিন  তালাকের মতো একটি প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় প্রথাকে আবর্জনার স্তূপে ছুড়ে ফেলা গেল। মুসলিম নারীদের প্রতি এতদিন ধরে চলে আসা একটি ঐতিহাসিক ভুল শুধরানো সম্ভব হল সংসদে। এটি লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জয়। এর ফলে সমাজে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথ আরো প্রশস্ত হল। আজ ভারতের খুশির দিন।

দীর্ঘদিন ধরেই তিন তালাক বিল নিয়ে উত্তাল ছিল ভারতের জাতীয় রাজনীতি। বিলটির পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কিছু কট্টরপন্থী সংগঠন।

২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিন তালাক বিল লোকসভায় পাস হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে রাজ্যসভায় অনুমোদন না হওয়ায়, বিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট সুপ্রিমকোর্ট তাৎক্ষণিক তিন তালাককে ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দেয়। এরপর মোদি সরকার তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধ গণ্য করে ও তিন বছরের জেল চেয়ে বিল আনে।