এক সন্তান নীতি থেকে এবার তিন-সন্তান নীতির পরিকল্পনায় চীন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার
জন্মহার ক্রমশ লোপ পাওয়ায় এক সন্তান নীতি থেকে সড়ে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন। তবে সেটিও পরিকল্পনা মত কাজ না করায় এবার তিন সন্তান নীতির দিকে ঝুঁকছে দেশটি। এরই অংশ হিসেবে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিং-এ তিন সন্তান নীতি চালুর পরিকল্পনা করছে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন।
কর্মক্ষেত্রে জন্মহার হ্রাসের প্রভাব ঠেকাতে ও জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষায় লিয়াওনিংয়ের স্থানীয় প্রশাসন কিছু কিছু দম্পতিকে তিন সন্তান নেওয়ার অনুমতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রোধে ১৯৭৮ সালে চীন কঠোর ‘এক সন্তান নীতি’ গ্রহণ করেছিল। শক্ত হাতে ওই নীতি বাস্তবায়নের কারণে সরকার জনসংখ্যা বৃ্দ্ধির হার কমিয়ে আনতে সক্ষমও হয়েছিল।
কিন্তু পরে জন্মহার বেশি কমে যেতে থাকায় চীন এ নীতি থেকে সরে আসে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ায় কর্মক্ষেত্রে এর প্রভাব ঠেকাতে জনভারসাম্য রক্ষায় ২০১৬ সালেই চীন সরকার দম্পতিদেরকে দুই সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। তারপরও চীনে বাড়েনি জন্মহার।
২০১৮ সালে সন্তান জন্মের হার ছিল এ যাবৎকালের সর্বনিম্ন। দেশটিতে জন্মহার এখনো নিম্নমুখী। একই সঙ্গে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা তরতর করে বাড়ছে।
মঙ্গলবার লিয়াওনিং প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “জনসংখ্যা হ্রাস আটকাতে যেহেতু আগের নেওয়া উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হয়েছে তাই ২০১৯ সালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর একটি হবে পরিবার পরিকল্পনা নীতিতে সংশোধন।”
লিয়াওনিং প্রদেশ এরই মধ্যে একটি নতুন নিয়মের একটি খসড়া তৈরি করেছে। এর আওতায় দুই সন্তান থাকা পরিবারগুলোকে শিক্ষা, বাসস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং আরো বেশি অর্থনৈতিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। তাছাড়া, সীমান্ত এলাকায় বাস করা দম্পতিদেরকে তিনটি সন্তান নেওয়ারও অনুমতি দেওয়া হবে।
চীনের কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে পরিবার পরিকল্পনা চালু রাখলেও কিছু কিছু অঞ্চলে এক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। জাতিগত সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে সাধারণত সন্তান জন্মদানের ওপর কড়াকড়ি করা হয় না। তাছাড়া, পল্লী এলাকার পরিবারগুলোর ক্ষেত্রেও বেশি সন্তান নেওয়ার অনুমতি আছে।