মিয়ানমার থেকে আসছে কোরবানির গরু
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ২ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ শাহ পরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে পশু আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বৈরি আবহাওয়া কারণে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবারো আমদানি শুরু হয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ২৫ মে টেকনাফের সাবরাংয়ের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর পার্শ্বে একটি ক্যাডল করিডোর চালু করে। প্রতি গরু-মহিষ থেকে পাঁচ শ ও ছাগল দুই শ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়।
গত পাঁচ দিনের ৩২টি ট্রলারে প্রায় পাঁচ হাজার ২১৮টি গবাদি পশু আমদানি করা হয়েছে। এর মাঝে তিন হাজার ৮৪৮টি গরু ও এক হাজার ৩৭০টি মহিষ। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ নয় হাজার টাকা।
করিডরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম জানান, বৈরি আবহাওয়া কারণে কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর গত চারদিনে প্রায় এক হাজার ৭০টি গবাদিপশু মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছি। ঈদে গরু চাহিদা থাকায় দামও ভাল পেয়েছি। এখন লক্ষ্য কোরবানির ঈদের চাহিদা পূরণ করা। তবে গবাদি পশু আমদানি এবং ক্রয়-বিক্রয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি এবং কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।
টেকনাফের ব্যবসায়ী আবু ছৈয়দ মেম্বার বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রচুর পশু আসছে শাহপরীর দ্বীপ করিডরে। এসব পশু নিয়ে টেকনাফ সদরের গরু বাজারে, টেকনাফ মিঠাপানির চড়া, সাবরাং ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, শাহপরীর দ্বীপের নাফনদীর বেড়িবাধ ও পুরাতন বাজারের বেশ কয়েকটি স্থানে পশুর হাট জমে উঠেছে।
টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন বলেন, বৈরি হাওয়ায় গত কয়েকদিন পশু আমদানি বন্ধের পর সোমবার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র করিডর শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে মিয়ানমার থেকে গত মাসে ছয় হাজার ৭৪৪টি গরু ও তিন হাজার ৩৫১টি মহিষ আমদানি করে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়। এ স্থলবন্দর থেকে সদ্যসমাপ্ত জুলাই মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা সম্ভব হয়েছে। তবে পশু আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে। পশু আমদানী বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।