ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ, এরপর গলাকেটে হত্যা!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ২ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার
মায়ের কোলে ঘুমিয়েছিল শিশুটি। মাও ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুম ভাঙার পর তিন বছরের মেয়েটিকে আরও কোলে নিতে পারেননি। ঘুমন্ত অবস্থায় অপহরণের পর দুই দুবৃত্ত মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর গলাকেটে হত্যা করে। শিশুটির শরীর পাওয়া গেলেও মাথা পাওয়া যায়নি। ভারতের ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
২৭ জুলাই গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্ত এখনও জানাতে পারেনি শিশুটির শিরচ্ছেদ করার পর মাথাটি সে কোথায় রেখেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্ত রিঙ্কু সাহু ও কৈলাস পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়, যেখানে শিশুটির ছিন্ন দেহ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে এসেছিল তারা। পুলিশ গোয়েন্দা কুকুরের সাহায্যে ছিন্ন মাথাটির খোঁজে তল্লাশি চালালেও প্রবল বৃষ্টির কারণে এখনও তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যতম অভিযুক্ত রিঙ্কুর লম্বা ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। ২০১৫ সালে এক শিশুকে অপহরণ ও তাকে হত্যার চেষ্টার অপরাধে সে কারাবাস করছিল। সম্প্রতি সে জামিন পেয়েছিল। সে এবং তার বন্ধু কৈলাস দু'জনেরই বয়স ৩০-এর কোঠায়। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা সারাদিন ধরে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যা করে, কেননা শিশুটি কান্না থামাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার স্টেশন থেকে ৪ কিমি দূরে আবর্জনার স্তূপের ধারে ঝোপের আড়াল থেকে দেহটি আবিষ্কৃত হয়।
গত বৃহস্পতিবার শিশুটি তার মায়ের কোলে ঘুমোচ্ছিল টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় টিশার্ট আর শর্টস পরা একটি লোক (যাকে রিঙ্কু বলেই মনে করা হচ্ছে) শিশুটিকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
কয়েক ঘণ্টা পরে শিশুকে খুঁজে না পেয়ে তার মা পুলিশের কাছে যান। তিনি জানান, এ ব্যাপারে নিজের পুরুষ সঙ্গী মনু মণ্ডলকে তিনি সন্দেহ করেন। প্রসঙ্গত, এই মনুর সঙ্গেই নিজের স্বামীকে ছেড়ে পুরুলিয়ে থেকে এখানে আসেন তিনি। মনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে এখনও জেরা করা হচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের পক্ষে সহজ হয়েছে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা। অন্যতম অভিযুক্ত রিঙ্কুর মা একজন কনস্টেবল। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগের সমস্ত অপরাধের ক্ষেত্রে তিনি ছেলেকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। তিন সন্তানের বাবা রিঙ্কু এর আগেও শিশু অপহরণ ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আর কৈলাসের বাবা একজন সৈনিক।