‘নিষিদ্ধ’তে আশক্তি সবার, ট্যাবুতেই আটকে আছে সব!
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
এস, ই, এক্স= সেক্স। তিন অক্ষরের শব্দটি নিয়েই যত গোলমাল। এই শব্দ মানেই ‘নিষিদ্ধ’ গন্ধ। আর এতেই কিন্তু সবার আশক্তি রয়েছে। তবুও প্রকাশ্যে এটাকে ট্যাবু বলেই বিবেচনা করা হয়।
সেই ‘সেক্স’ নিয়েই যত গোল বেদী পরিবারে। বাপ মরা মেয়ে বেবি বরাবরই তার মামার সঙ্গে সঙ্গে থাকে। মামা ইউনানি হাকিম, সেক্স ক্লিনিক চালায়। সেখানে মাঝেমধ্যেই ঢুকে পড়ে ছোট্ট ভাগ্নী। এক দিন সাইনবোর্ড লিখিয়ে সেক্সের ভুল বানান লিখে আনে। তাকে সকলের সামনে শুধরে দেয় বেবি। আর এমন কাহিনী দেখে কেটে পড়ে বেবির মা।
কিন্তু বিধি খণ্ডাবে কে? মারা যাওয়ার আগে মামা তার প্রিয় ভাগ্নীর নামে লিখে দিয়ে যায় সেই সেক্স ক্লিনিক, ‘খানদানি শফাখানা’। প্রথম থেকেই সেই ক্লিনিক নিয়ে আপত্তি ছিল বেবির মায়ের। তাকে না জানিয়েই ক্লিনিকে গিয়ে বসতে শুরু করে বেবি। সেক্স ক্লিনিক চালাবে একটি মেয়ে, ট্যাবুতে বাঁধা এই সমাজ সেটা মেনে নিতে অপারগ। ফলে ঘরে-বাইরে সংঘাতের মুখে পড়ে বেবি। শেষে ডাক্তারি বা হাকিমি পাশ না করেও ক্লিনিক চালানোয় তাকে জেলে যেতে হয়।
সেক্স নিয়ে সমাজের গোঁড়া দৃষ্টিভঙ্গিকেই ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক শিল্পী দাশগুপ্ত। বিষয় নতুন নয়। এর আগে ‘ভিকি ডোনার’-এ এই ধরনের সমস্যা নিয়ে নাড়াচাড়া করা হয়েছে। ‘পিকে’-তে কন্ডোমের প্রসঙ্গ এসেছে। ‘খানদানি শফাখানা’র গল্পটি যেভাবে সাজিয়েছেন পরিচালক, তাতে অবশ্যই নতুনত্ব আছে।
সিনেমায় সামাজিক বার্তা থাকতেই পারে, বিশেষ করে যৌনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। তবে এ ছবিতে সেটাই যেন ম্লান হয়ে যায়।