সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে অভ্যাসগুলো গৃহে আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

আজকাল চারদিকেই প্রায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকে। ফলে প্রাণহানি ও নানা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় অনেককেই। এখন সব বাড়িতেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। ফলে নিঃসন্দেহে রয়েছে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকি। সাবধান থাকলে ঘরে আগুন ধরার ঝুঁকি অনেক কমে যায় বটে।

কিন্তু তারপরেও অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে মুহূর্তের মাঝেই। কিছু কিছু কাজের অভ্যাসের কারণে আগুন লাগার ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। তাই সাবধান থাকতে এই কাজগুলোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে-

চুলা জ্বালিয়ে রান্নাঘরে ছেড়ে চলে যাওয়া
রান্না চড়িয়ে দিয়ে অনেকেই গরম সহ্য করতে না পেরে রান্নাঘর থেকে চলে যান। হয়তো ফ্যান ছেড়ে একটু ঠাণ্ডা হয়ে নেন অথবা অন্য কোনো কাজ করেন। এ কাজটি দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন বা ভুলে যেতে পারেন চুলা জ্বালানো আছে। এ থেকে ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে।

 

চুলায় আঁচ বেশি দেয়া
দাউদাউ করে চুলা জ্বালানোটা বিপজ্জনক। আপনি যদি চুলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারপরেও বিপজ্জনক। বিশেষ করে রান্নার পাত্র থেকে ঝদি ধোঁয়া ওঠে বা তেলে আগুন লেগে যায়, তাহলে বিপদের ঝুঁকি রয়েছে।

চুলার আশেপাশে ময়লা হয়ে থাকা
রান্না করার সময় চুলার আশেপাশে তেল-ঝোল পড়তেই পারে। কিন্তু এসব ময়লা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। নয়তো এই তেলে আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সিগারেট পুরোপুরি না নেভানো
চুলার আগুন থেকে বেশিরভাগ বাড়িতে আগুন লাগলেও ধূমপানের আগুন থেকেও দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সিগারেট পুরোপুরি নেভানো না হলে ঘরে আগুন লেগে যেতে পারে। আপনার বাড়িতে ধূমপায়ী থাকলে তাকে বাইরে, বারান্দায় বা বাগানে গিয়ে ধূমপান করতে বলুন। আর সিগারেট পুরোপুরি নেভানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

অনিরাপদ মোমদানির ব্যবহার
বিদ্যুৎ চলে গেলে অনেকে এখনো মোমবাতি ব্যবহার করেন। কেউ কেউ এমনিতেই সেন্টেড ক্যান্ডেল ব্যবহার করেন ঘরে সুগন্ধি আনতে। কিন্তু এই মোমবাতি অনিরাপদ মোমদানিতে রাখা উচিত নয়। মোমদানি উল্টে আশেপাশের ফার্নিচারে বা কাপড়ে আগুন লেগে যেতে পারে।

 

ছেঁড়া বিদ্যুতের তার
ঘরের কোথাও ছেঁড়া, ফাটা বা এলোমেলো বিদ্যুতের তার থেকে আগুন লেগে যেতে পারে। এছাড়া মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করাটাও কিন্তু ঝুঁকি তৈরি করে। সরাসরি দেয়ালের আউটলেটে প্লাগ লাগিয়ে কাজ করুন।

বাসায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার না থাকা
এ ব্যাপারটাকে অনেকে আদিখ্যেতা মনে করতে পারেন। কিন্তু বাসায় একটা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকাটা প্রয়োজনের সময়ে খুবই কাজে লাগে। ছোট একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলে যে কোনো ধরণের অগ্নিকাণ্ড সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  রান্নার সময়ে বড় একটা ঢাকনা পাশে রাখুন। প্যানে আগুন ধরে গেলে তা চাপা দিলে আগুন নিভে যাবে। এছাড়া লবণ বা বেকিং সোডা ব্যবহার করেও এই ধরণের আগুন নেভানো যায়।