মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিনে মন্ত্রণালয়ে, রাতে হাসপাতালে নির্ঘুম দীপু মনি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রোববার

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের ব্যারিস্টার তৌফীক নাওয়াজ সাতদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গেল বুধবার (৩১ আগস্ট) তাকে কেবিনে নেয়া হয়েছে।

স্বভাবতই অসুস্থ স্বামীর সেবায় সারারাত পার করে দেবে স্ত্রী। সারাক্ষণ তার পাশে থেকে সাহস যুগাবে। এটাই তো নারীর আসল স্বরূপ। কিন্তু এরকম কোনো নারীর কাঁধেই যদি আবার দেশ, সরকার বা মন্ত্রণালয় সামলানোর অনেকখানি গুরুদায়িত্ব থাকে, তাহলে তাকে তো অনেক বেশিই চাপ নিতে হয়।

এদিকে স্বামী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় প্রতিদিনই রাত জেগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে স্বামীর পাশে থেকেছেন দীপু মনি। আবার মন্ত্রণালয় এবং দলের কোনো কাজই তিনি ফেলে রাখেননি। সেই কাজও এগিয়েছে স্বাভাবিক গতিতে।

 

স্বামীর অসুস্থতার মধ্যেও তিনি মন্ত্রণালয়ের পাশপাশি দলীয় সব কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকেছেন। এটাই বোধহয় নারীর শাশ্বত রূপ। তারা যে সবদিক ঠিক সামলে নিতে পারে, সেটাই করে দেখিয়েছেন দীপু মনি।

এই কয়েকটা দিন ভোরবেলা ইউনাইটেড হাসপাতালে গেলে অনেকেরই দীপু মনির গাড়িটার দিকে চোখে পড়েছে। হাসপাতালে রাত কাটিয়ে, চিকিৎসকদের কাছ থেকে সব খোঁজখবর নিয়ে আবার ছুটে গেছেন মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে আবার দলীয় কার্যালয়েও গিয়েছেন।

একটা কথা প্রচলিত রয়েছে, যে রাধে সে চুলও বাঁধে। দীপু মনির এই যে দিন-রাত একাকার করে পরিশ্রম, এটাই নারীর চিরাচরিত শক্তি। এজন্যই নারীরা উন্নয়নের চালিকাশক্তি, সে ঘরে-বাইরে সবই সামলে নিতে পারে।

অন্যদিকে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, কেউ সেভাবে জানেনি বা বোঝেওনি যে, দীপু মনির স্বামীর এমন গুরুতর অসুস্থ। এর মাঝেও ছুটি নেয়া বা কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননি তিনি। এটা সবার জন্য শিক্ষণীয়। একটা কঠিন সময়কে পার করেও যে দায়িত্বপালন করা যায়, সেটাই তিনি করে দেখিয়েছেন। সৃষ্টি করেছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উদাহরণ।