শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নগরীর ফুটপাতে ক্রেতা-বিক্রেতার ভীড়, ভোগান্তিতে পথচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক 

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

 নগরীতে তীব্র শীতের কারণে ফুটপাতগুলো জমে উঠেছে গরম পোষাকের কেনাকাটায়। ক্রেতাদের ভীড় লেগে থাকছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। ফুটপাতে তীল পরিমান ঠাঁই নেই। ফুটপাত ছেড়ে হকাররা সড়কের উপরও পসরা সাজিয়ে বসেছে। হকার ও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়ে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌছেছে।

শুক্রবার বিকালে ও শনিবার সন্ধ্যায় (২১ ডিসেম্বর) সরেজমিনে নগরীর প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কে দেখা যায়, ফুটপাতে তীল পরিমান ঠাই নেই। ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় ও ফুটপাত দখল থাকায় সড়কের উপর দিয়ে চলতে গিয়ে অনেক পথচারীরা ছোট-খাটো র্দূঘটনার শিকার হচ্ছেন নিত্যদিন। সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতাদের চাপ অনেক বেশি ছিল শুক্রবার। কারণ অপেক্ষাকৃত মার্কেটের তুলনায় দামে কম হওয়ায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের বেশি ভীড় জমাচ্ছেন ফুটপাতে। শনিবারও ভীড় কম ছিল না। শীতের কাপড় কিনতেই বেশী ভীড়।

 

পথচারী যুবক সজীব বলেন, বিগত ৩ দিনের শীতের কারণে সবাই এসেছে শীতের পোষাক কিনতে। শুক্রবার ছুটির দিন তাই চাকুরীজীবীরা এসেছেন কিছু কাপর কিনতে কিন্তু ফুটপাতে এই ভীড়ের মধ্য দিয়ে হাটা যায় না। অনেক সময় এই ভীড়ের মধ্যে থেকে পকেট মেরে দেয় অনেকে। আর পকেটমাররা এই রকম যায়গায় বেশি থাকে।

শিক্ষার্থী জারা বলেন, ফুটপাতের ভীড়ের কারনে মেইন রাস্তা দিয়ে হাটছি। ফুপির বাসায় গেছিলাম এখন বাসায় যাচ্ছি। ফুটপাতের দোকানগলো এখন রাস্তার অনেকটা যায়গা নিয়ে আছে। তাই একটু আগে এক মহিলার মাথার ওড়না রিকশার সাথে আটকে গিয়ে ছিড়ে গেছিলো। যদিও বেশি কোন ক্ষয় ক্ষতি হয় নাই। কিন্তু আরো ভয়াবহ কিছু হতে পারতো।

ফুটপাতের ব্যবসায়ী রাজন বলেন, এখন কি করবো আমাদেরও তো পরিবার আছে। আমাদের অন্য কোন পেশা নাই কিন্তু এই ভীড় আজকের জন্য অন্যান্য দিন এতো ভীড় থাকে না।

আরেক জন ব্যবসায়ী সহিদুল বলেন সপ্তাহের শুক্রবার বেশি ভীড় থাকে। গার্মেন্টসের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে গেলে মালিক ওই মালামাল বিক্রি করে দেয়। আমরা সরাসরি সেখান থেকে আনি। কাপড় ভালো দামও কম। তাই ক্রেতারা আমাদের কাছে আসে।