অ্যালজাইমার্স ও হার্ট সুস্থ রেখে মেদও কমায় যে ডায়েট
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রোববার
গবেষণায় উঠে এসেছে মন সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালজাইমার্স ঠেকাতেও অনবদ্য কিছু ডায়েট প্রক্রিয়া৷ ৯২৩ জন বয়স্ক মানুষের উপর প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে৷ যারা যত বেশি দিন ধরে এই ডায়েটে অভ্যস্ত তাদের উপকারের পাল্লাও তত বেশি।
জার্নাল অব অ্যালজাইমার্স অ্যান্ড ডিমেনসিয়া, দ্য জার্নাল অব দ্য অ্যালজাইমার্স অ্যাসোয়িয়েশন-এ প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য৷
পুষ্টিবিজ্ঞানে এর নাম ‘মাইন্ড ডায়েট’। বিজ্ঞানীদের মতে, যারা নিয়মিত এই খাবার ডায়েটে রাখেন তাদের মধ্যে অ্যালজাইমার রোগের আশঙ্কা প্রায় ৫৩ শতাংশ কম৷ আর যারা মাঝে মধ্যে রাখেন তাদের কমে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো৷
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ডায়েট খেলে রক্তচাপও বশে রাখা সহজ৷ কোলেস্টেরল-ট্রাইগ্লিসের প্রকোপ থাকে কম৷ কাজেই যাদের মধ্যে এসব রোগ বা রোগের প্রবণতা আছে, তারা অনায়াসে এই খাবারগুলো ডায়েটে রাখতে পারেন৷
ওজন কমাতেও এই খাবারের ভাল ভূমিকা রয়েছে৷ উপরি হিসেবে পাবেন উজ্জ্বল ত্বক৷
মোট কথা এই ডায়েট অ্যালজাইমার্স রোগ থেকে বাঁচায়, হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, মন ভাল রাখে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে।
এবার জানা যাক কি আছে এই ডায়েটে:
এই ডায়েট বানানো হয়েছে হার্টের বন্ধু মেডিটেরিয়ান ডায়েট ও রক্তচাপ ঠেকানোর ডায়েট ড্যাশ (ডায়াটারি অ্যাপ্রোচেজ টু স্টপ হাইপারটেনশন)–এর উপকার ছেঁকে৷ কাজেই এখানে যথাসম্ভব প্রাকৃতিক খাবার খেতে হবে৷ বাদ দিতে হবে মিষ্টি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও রেডমিট৷
আর ড্যাশ ডায়েটে যেমন খাবারে লবণের পরিমাণ তথা সোডিয়াম কম রাখা হয়, প্রেশার বাড়াতে পারে এমন খাবার-দাবার রাখা যাবে না৷ এই ডায়েটে ১০ ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয়।
সব্জি, সবুজ শাক, বেরি- বিশেষ করে ব্লু বেরি, বাদাম, বিন্স, হোল গ্রেন অর্থাৎ ব্রাউন রাইস, আটা, জোয়ার, বাজরা, রাগি, ওটস ইত্যাদি। এছাড়া মাছ, চিকেন, ডিম, অলিভ অয়েল থাকবে এই ডায়েটে।
বাদ দিতে হবে ৫টি অস্বাস্থ্যকর খাবার। যেমন-ভাজাভুজি ও ফাস্ট ফুড, রেড মিট, চিজ, মাখন ও মার্জারিন এবং ফল বাদে সব রকম মিষ্টি খাবার৷
খাওয়ার নিয়ম
* ভাত–রুটির পরিমাণ অল্প অল্প করে কমান এবং সাদা চাল বা ময়দার বদলে ব্রাউন রাইস বা আটার রুটি খান। সাদা পাউরুটির বদলে খান ব্রাউন ব্রেড৷ তাও আগে দুটো খেলে এখন খাবেন একটা৷ প্লেট ভরে স্যালাড খান, লেবু বা অল্প অলিভ অয়েল মিশিয়ে খেতে পারেন৷ বাদ দিন হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার৷ সব্জি খান প্রতিদিন৷
* প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন বাদাম খান৷ পরিমাণে ২৫ গ্রামের মতো৷
* সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ৩/৪ কাপ বিনস খান৷
* ডিম একটি, ৭৫ থেকে ১০০ গ্রাম চিকেন ও বেরি কম করে সপ্তাহে দু’বার৷
* সপ্তাহে অন্তত একদিন মাছ খাবেন৷ তা হতে হবে ৭৫ থেকে ১০০ গ্রামের মধ্যে৷ তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ হলে আরও ভাল৷
* অস্বাস্থ্যকর খাবার সপ্তাহে একদিনের বেশি নয়৷ তবে না খেলেই ভাল।
* মাখন খান দিনে এক চামচেরও কম৷