ঘুমের গুরুত্ব ও সৃজনশীলতা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
ঘুম ও জাগৃতি পরস্পরের পরিপূরক চেতনার মাত্রা। জাগৃতির মত ঘুমানোও একটা সৃজনশীল কাজ। ডা. এলান হবসন ঘুমের এই সৃজনশীল মাত্রাকে চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন ঘুম সংক্রান্ত এ পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ দি ড্রিমিং ব্রেন এ। তিনি ঘুমের গুরুত্ব ও সৃজনশীলতা সম্পর্কে নিম্মোক্ত ৭টি পয়েন্ট উল্লখ্য করে বইয়ের উপসংহার টেনেছেন:
৭টি পয়েন্ট হলো:
১. নিরীক্ষায় দেখা গেছে, ঘুমের সময় অধিকাংশ ব্রেন সেলাই বিশ্রাম নেয় না। শুধুমাত্র ব্রেন স্টেমের এমিনার্জিক নিউরোনই বিশ্রাম নেয়। এই এমিনার্জিক নিউরোন মনোযোগ ও স্মৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট।
২. এমিনার্জিক নিউরোন যখন বিশ্রাম নেয়, তখন সেনসরি মটর নিউরোন সক্রিয় হয়ে উঠে এবং ব্রেনের বিভিন্ন সার্কিট এর সক্রিয় রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম চালুর কর্মসূচী প্রদান করে।
৩. এই সক্রিয় রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী উন্নয়নের জন্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে শুধু সুষ্ঠ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতাই রক্ষিত হয়না, বরং কাজ করার সামর্থ্যও পরিবর্তিত হয়।
৪. ঘুম বিশেষত রেম ঘুম সীমিত জেনেটিক প্রোগ্রামকে আচরণ নিয়ন্ত্রণকারী কর্মধারা উন্নয়নের কার্যকরী প্রোগ্রামে রুপান্তরিত করার উপকরণ সরবরাহ করে।
৫. রেম ঘুম কালে ব্রেনের অতি সক্রিয় অবস্থা বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ধাপ (যেমন স্মৃতি সংরক্ষণ এবং পূরনো ও নতুন তথ্যের তুলনা ও সমন্বয় সাধন) সম্পন্ন হয় ঘুমের মধ্যে।
৬. এই ধারণাকে আর একটু এগিয়ে নিয়ে যেয়ে আমরা বলতে পারি যে, ঘুমের মাঝে ব্রেণ অত্যন্ত সৃজনলীল থাকে। ঘুমের মাঝে সচেতন বা অবচেতনভাবে আমরা পুরানো সমস্যার নতুন সমাধান পেয়ে থাকি এবং নতুন ধ্যান ধারনারও সূত্রপাত হয়।
৭.স্বপ্ন এবং রেম ঘুমের সাথে এর সম্পর্ক আমাদের ভেতরের সত্তার দর্পণ হিসেবে চমৎকার কাজ করতে পারে।