মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রেমিকাকে পেতে বন্ধুকে খুন করে মাটিতে পুঁতে ফেলে আরেক বন্ধু

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

এক কিশোরীর সঙ্গে দুই বন্ধুর প্রেম। প্রেমিকাকে পেতে চান দুই বন্ধুই। কিন্তু কেউই চাননি প্রেমিকাকে হারাতে। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এক বন্ধুকে খুন করলো আরেক বন্ধু।

নিহত যুবকের বাবা বলেছেন, গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছিল তার ছেলে। ছেলের অপর এক বন্ধুর সঙ্গেও ওই কিশোরীর সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকাকে কাছে পেতে বন্ধুকে খুন করেন অপর বন্ধু। শুধু তাই নয়, বন্ধুকে হত্যার পর তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে ফেলেন তিনি। নির্মম এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার করিমপুরে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত যুবকসহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করেছে করিমপুর পুলিশ। নদিয়ার করিমপুরের কাছে হোগলবেড়িয়ার আরবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিহত যুবক অমিয় বিশ্বাস। গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার খোঁজখবর শুরু করে হোগলবেড়িয়া থানার পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে অমিয় বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনিমেষ মণ্ডল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড। পুলিশ জানতে পারে, অমিয় বিশ্বাসকে খুন করে জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয়েছে। পরে মেঘনা গ্রামের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে অমিয় বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অমিয় বিশ্বাসের বাবা অসিত বিশ্বাসের অভিযোগ, গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল তার ছেলে অমিয় বিশ্বাস ও মূল অভিযুক্ত অনিমেষ মণ্ডল। তারা দুজনই খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। ত্রিভুজ প্রেমের এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি দুই বন্ধুর সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই কিশোরীকে কে বিয়ে করবে; এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মারধরের ঘটনাও ঘটে।

তিনি বলেন, অমিয় ছোটোখাটো ব্যবসা করত। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনিমেষের কাছে মাংস সাপ্লাই করেছিলেন। এই মাংস বাবদ অনিমেষের কাছে ১০ হাজার টাকা বকেয়া হয়েছিল অমিয়র। কিন্তু কিছুতেই সেই টাকা মেটাচ্ছিল না অনিমেষ। এই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এছাড়া ওই কিশোরীর সঙ্গে ঘর সংসার বাঁধা নিয়েও তাদের তর্ক বিতর্ক হয়। এ দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অমিয় বিশ্বাসকে অনিমেষ খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন অসিত বিশ্বাস।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত অনিমেষ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনদিন আগে তিন সহযোগীকে নিয়ে অমিয়কে হত্যার কথা স্বীকার করেন অনিমেষ মণ্ডল। বন্ধুকে হত্যার পর তার মরদেহ জঙ্গলে পুঁতে ফেলা হয় বলে জানান তিনি। পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।