বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর, দমনে পাঠানো হলো আরও ৮ হাজার সেনা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা সংবিধানের ‘৩৭০ নম্বর ধারা’ বাতিলের বিল পাস করার পরই বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে জম্মু-কাশ্মীর। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পথে নেমে বিক্ষোভ করছে সেখানকার অনেক জনগণ। বিক্ষোভ দমনে সেখানে আরও আট হাজার আধাসামরিক সেনা পাঠিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিমানবাহিনীর সামরিক পরিবহন বিমানে করে সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে আট হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে গেল কয়েক সপ্তাহে সেখানে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হলো।
সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ সুবিধা বাতিলের বিল পাসের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর ওই ঘোষণার পর বিক্ষোভ দমনে আরও আট হাজার আধাসামরিক সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলোপ করার ঘোষণা দেয়ার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় গেল কিছু দিন ধরে কাশ্মীরে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো শুরু করে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। উল্লেখ্য, কাশ্মীরে প্রতি ১০ জন মানুষের জন্য একজন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন অমিত শাহ।
সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল জুড়ে দেন। কয়েক মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়—এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা আছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে, যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও এতে দেয়া হয়েছে।