উত্তেজনার মধ্যেই গ্রেফতার হলেন কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই গ্রেফতার হলেন রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি। খবর এনডিটিভি।
সোমবার কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার থেকেই সাবেক এ দুই মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল।
এনডিটিভি জানিয়েছে, শ্রীনগরের বাসা থেকে গ্রেফতারের পর মেহবুবা মুফতিকে স্থানীয় সরকারী গেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব করেন। সংসদের অনুমোদনের পরই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রপতির সইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেয়া ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত হলো। সে সঙ্গে একটি স্বায়ত্বশাসিত রাজ্যের মর্যাদাও হারাল কাশ্মীর।
আইনটি পাশ করার আগে থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়—এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা ছিল।
৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশের রাজ্য পায়নি।
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান এবং একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্য সব ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দিয়েছে।
সংসদে ক্ষমতাসীন জোট সোমবার ধারা দুটি বাতিলের যে বিল উত্থাপন করে তা পাস হওয়ায় কাশ্মীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দশা এখন ফিলিস্তিন কিংবা মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মতো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।