ফিলিপাইনে ডেঙ্গুকে মহামারি ঘোষণা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
ফিলিপাইনে ডেঙ্গু জ্বরকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬২২ জনের মৃত্যু হওয়ার পর দেশটি ‘জাতীয় ডেঙ্গু মহামারি’ ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো ডিউক এ তথ্য দিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাংস্থ্য সংস্থার মতে, সম্প্রতি বিশ্বে ডেঙ্গুর নাটকীয় উত্থান ঘটেছে। জুলাইতে ফিলিপাইনে প্রাথমিকভাবে এই মহামারির ঘোষণা দিয়েছিল।
ফিলিপাইনে গত জানুয়ারি থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৯৮ শতাংশ বেশি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো ডিউক এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, স্থানীয় প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন কোথায় এই প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সেই স্থান চিহ্নিত করার জন্য এবং স্থানীয় সরকার ইউনিটগুলোকে তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া তহবিল ব্যবহার করে মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম করার জন্য এই একটি জাতীয় মহামারি ঘোষণা করা জরুরি ছিল।
দেশটির পশ্চিমা ভিসায়াতে সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে ২৩,০০০-এরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। এছাড়াও ক্যালবার্জন, জামবোঙ্গা উপদ্বীপ এবং উত্তর মিন্দানাওতে উল্লেখযোগ্য প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সাতটি অঞ্চলে পর পর তিন সপ্তাহ ধরে মহামারিটির মাত্রা ছাড়িয়েই যাচ্ছে।
ডেঙ্গু ভ্যাকসিন নিয়ে আতঙ্ক ফিলিপাইনে টিকাদান হারে বড় হ্রাস ঘটাবে বলে কর্মকর্তারা গত বছর সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ২০১৬-১৭ মেয়াদে ফিলিপাইনে ৮ লাখেরও বেশি টিকা দেয়ার পরে ১৪টি শিশু মারা গিয়েছিল। ডেঙ্গু প্রতিরোধী বিশ্বের প্রথম টিকা ডেঙ্গভাক্সিয়া প্রচলনের পর উদ্বেগ ছড়িয়ে গিয়েছিল। এই ভেক্সিনের আবিষ্কার ফরাসি কোম্পানি সানোফি এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা ওই ১৪ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে টিকাটির কোনো সম্পর্কের প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ৪০ কোটিরও বেশি লোক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এদের বেশিরভাগ গ্রীষ্মমন্ডলীয় বা উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলেই ঘটে থাকে এবং শিশুদের মধ্যেই গুরুতর সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়। লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, চোখের পেছনে ব্যথা এবং একটি লাল ফুসকুড়ি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এগুলো সাধারণত সংক্রমণ হওয়ার চার থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিকাশ লাভ করে এবং প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে চলে যায়।