মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাশ্মির ও লাদাখ নিয়ে ভারতকে চীনের সতর্কবার্তা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০২ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তে ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। একইসঙ্গে লাদাখকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তে ভারতকে সতর্ক করেছে দেশটি।

চীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মির প্রশ্নে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত ‘একতরফা ব্যবস্থা’। অন্য আরেকটি বিবৃতিতে লাদাখকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছে দেশটি।

তবে চীনের সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে মঙ্গলবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। চীন ও ভারতের মধ্যকার বিবাদপূর্ণ এলাকা লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার প্রস্তাবটি ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপার’ বলে উল্লেখ করেছে দেশটি।

 

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর জম্মু-কাশ্মিরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। 

জম্মু-কাশ্মির পুনর্গঠন বিল ২০১৯ নামের এ বিলের আওতায় জম্মু-কাশ্মিরকে দু’ভাগ করে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিণত করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ হবে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।

সোমবার এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও মঙ্গলবার দুটি আলাদা বিবৃতি দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সীমান্ত ইস্যুতে কথা বলা ও কর্মকাণ্ড ঠিক করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’ 

‘দুই পক্ষের মধ্যে এ সংক্রান্ত যে সমঝোতা হয়েছিল তা মেনে চলার জন্য এবং সীমান্ত ইস্যুগুলো আরো জটিল করে তুলবে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিরোধপূর্ণ এলাকা লাদাখের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংয়ের হাতে হলেও ভারত বরাবরই একে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। 

 

এ এলাকাকে ভারতের কেন্দ্র শাসনের আওতায় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম অংশে ভারতের প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে চীনা এলাকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং। এ অবস্থানটি দৃঢ়, অবিচল ও কখনো পরিবর্তন হয়নি।’ 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পক্ষ একতরফা চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করে যাচ্ছে।’