মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থন চাইলেন রাষ্ট্রপতি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:১৭ এএম, ৯ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগত নিধনের’ বিরুদ্ধে ফ্রান্সের শক্ত অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ঠাঁই নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে দেশটির অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের আবাসিক রাষ্ট্রদূত জেঁ-মারিন স্কুহ রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র প্রদানের সময় তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রদূতকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ফ্রান্স রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দেশটির উপর চাপ বাড়াবে।

বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে সত্তরের দশক থেকে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় আঁন্দ্রে মার্লো মতো শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর সমর্থন ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে ফ্রান্সের সমর্থনের প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের মুক্ত বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট হামিদ আগামী দিনে এ দেশে ফ্রান্সের আরো বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। 

চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, এরই মধ্যেই এ দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে এবং আগামীতে এ দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ফ্রান্সের সমর্থন কামনা করেন।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, দিনে দিনে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বাড়ছে। তিনি আশা করেন আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

এর আগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।