লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফাতের ময়দান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৫২ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা, লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইকা। ইন্নাল হামদা ওয়ান নেয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারীকা লাকা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে আকাশ-বাতাস। প্রাণোচ্ছল ভালোবাসা ও আনুগত্যের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে মিনার প্রান্তর। দিগন্ত ছাড়িয়ে এ ধ্বনিতে যেন উচ্চাকাশও কেঁপে উঠেছে। জীবনের সব প্রাপ্তির সম্মিলনেই হজ পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আজ শনিবার শুরু হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
ফজরের নামায আদায় করে হজযাত্রীরা মিনা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন। আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। এরপর সেখান থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাত্রি যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।
এর আগে সারা পৃথিবীর ১৫০টি দেশের ২৫ লাখের বেশি মুসলমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম (কাবা শরীফ) থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত বা ধর্মীয় উপাসনা হলো হজ। হজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চম স্তম্ভ। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে একবার হজ সম্পাদন করা ফরজ। আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধারিত সময়। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী, মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন ও অবস্থান করতে হয়। হজ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বাৎসরিক তীর্থযাত্রা।