মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাপড়ের বাজারেও সমান ভিড় ক্রেতাদের

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

ঈদুল আজহায় সাধারণত গরুর হাট ও মসলার বাজারে ভিড় করেন ক্রেতারা। তবে কাপড়ের বাজারেও ক্রেতাদের একই রকম ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মার্কেটগুলোর পাশাপাশি দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না ফুটপাতের দোকানিরাও।

ঈদের আর বাকি দু’দিন। তবে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী নিউমার্কেট এলাকায় মানুষের যে ভিড় দেখা গেছে, তাতে মনে হচ্ছে রাত পোহালেই বুঝি শুরু হবে ঈদের আনন্দ! সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত ক্রেতারা এ বাজার থেকে দরদাম করে নিজের পছন্দমতো পণ্য কিনছেন।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিউ মার্কেটে সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে কাপড়ের দোকানে। এখানে শাড়ি, চুড়ি ও গয়নার পাশাপাশি প্রসাধনীর দোকানগুলোতেও হচ্ছে প্রচুর কেনাকাটা।

শাড়ি মহলের বিক্রয় কর্মকর্তা জয়নাল আবদীন বলেন, ঈদুল ফিতরের থেকেও কোরবানির ঈদে বেশি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত রোজার ঈদে যেরকম বিক্রি হয় কোরবানির ঈদে বিক্রি ততটা হয় না। কিন্তু এবার বাজার বদলে গেছে। শাড়ির দাম হাতের নাগালে থাকায় বিক্রি বেশি হচ্ছে।

এদিকে শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে নিউমার্কেট এলাকায় বিপাকে পড়েছেন ধানমন্ডির স্বাগতা ইয়াসমিন। ভিড়, মানুষের চাপ আর গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও দোকান ঘুরে ঘুরে দু’টি শাড়ি, দু’টি থ্রি পিস ও বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না কিনেছেন তিনি।

স্বাগত জানান, মানুষের ভিড় ছাড়া নিউমার্কেটে আর কোন সমস্যা নেই। বেশিরভাগ দোকানেই মানসম্পন্ন পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতা বেশি হওয়ায় দোকানগুলো অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য বিক্রি করছেন।

 

 

নিউ মার্কেটের পাশে চাঁদনি চক, গাউছিয়া, এলিফ্যান্ট রোড, চন্দ্রিমা ও উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের ইস্টার্ন প্লাজায়ও একই রকম ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসব মার্কেটে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে কাপড় ও গয়না। 

নিউমার্কেট ও তার পার্শ্ববর্তী চাঁদনী চকে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে শাড়ি। সুতি ও সিল্কের শাড়িগুলোতে এমন দাম পড়লেও জামদানি কিনতে গেলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। ২০ হাজারে শিফন ও মসলিন মিলছে তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ দু’টি শাড়ির জন্য ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনেছেন অনেক ক্রেতা। 

মসলিন ও জামদানি শাড়িতে বির্টস, দপকা, জরি কম্বিনেশনে বাহারি রকমের সব হাতের কাজ দেখা গেছে। সুতার কাজ, কারচুপি, ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন-প্রিন্টসহ বিভিন্ন নকশাও রয়েছে এসব শাড়িতে। হালকা কাপড়ের সঙ্গে হালকা রঙের শাড়িগুলোই বিক্রি হচ্ছে বেশি। দোকানিদের মতে, হালকা গোলাপি, গোলাপি, সবুজ ও টিয়া রঙের শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

এসব শপিংমল ছাড়াও ফুটপাতে এবারের ঈদের বাজার বেশ রমরমা। স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের জন্য এসব অস্থায়ী মার্কেট সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য।

 

 

ফুটপাথের এসব দোকানি ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, জিনস প্যান্ট ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, টি-শার্ট ২৫০ থেকে ৪০০, মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ থেকে ১২০০, শাড়ি ৪৫০ থেকে ১০০০, শিশুদের থ্রি-কোয়ার্টার জিনস প্যান্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০, শাড়ি ৫০০ থেকে ১৫০০ এবং ছেলে ও মেয়ে শিশুদের কাপড় ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। 

এদিকে ঈদ উপলক্ষে অনলাইন মার্কেটেও শুরু হয়েছে কেনাকাটার উৎসব। দারাজ, এখানেই, আলীএক্সপ্রেস ও আমাজনের মতো বড় ই-কমার্সের পাশাপাশি ফেসবুক ভিত্তিক ছোট ই-শপগুলোও ভালো ব্যবসা করছে এবার।