শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারতরত্ন খেতাব পেলেন প্রণব মুখার্জি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় খেতাব ভারতরত্ন পেয়েছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখার্জি। এদিন একই খেতাব তুলে দেয়া হয়েছে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ভুপেন হাজারিকা ও ভারতীয় জনসঙ্ঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নানাজি দেশমুখের উত্তরাধিকারীদের হাতে।

বৃহস্পতিবার এ খেতাব তুলে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

ভারতরত্ন দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক খেতাব। সবিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৫৪ সাল থেকে দেয়া শুরু হয় এ খেতাব। এ পুরস্কারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী সুপারিশ করেন দেশটির রাষ্ট্রপতির কাছে। বছরে সর্বোচ্চ তিনজনকে দেয়া হয় এ খেতাব। প্রথমবারের মতো মরণোত্তর ভারতরত্ন খেতাব পেয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। আর এ বছরে প্রণব মুখার্জি ছাড়া বাকি দুই জন পেলেন মরণোত্তর খেতাব।

২০১২ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলেছেন প্রণব মুখার্জি। বাংলাভাষী এই কংগ্রেস নেতা সব দলের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। ৮৩ বছর বয়স্ক এই নেতা কংগ্রেসের বহু প্রধানমন্ত্রীর অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাজিব গান্ধী, নরসীমা রাও এবং মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখার্জি।

গান্ধী পরিবারের প্রতি বিশ্বস্ততা ও আলোচনার টেবিলে বিরোধী দলগুলোর অচলাবস্থা নিরসনের সক্ষমতার জন্য সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন তিনি। মনমোহন সিং মন্ত্রিসভার সবচেয়ে দূরদর্শী মন্ত্রী হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করে থাকেন।

দায়িত্ব নেয়ার পর ভারতের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিকবার প্রণব মুখার্জিকে পরামর্শদাতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। ভারতরত্ন পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণার পর এক টুইট বার্তায় মোদি লিখেছিলেন, আমাদের সময়ের অসামান্য রাষ্ট্রনায়ক প্রণব দা। কয়েক দশক ধরে নিঃস্বার্থ ও ক্লান্তিহীনভাবে দেশের সেবা করে গেছেন। জাতীয় উন্নয়নের কক্ষপথে তিনি জোরালো ছাপ রেখে গেছেন। তার বিদগ্ধতা ও ধীশক্তির জুড়ি মেলা ভার। ভারত রত্নের জন্য তিনি মনোনীত হওয়ায় আনন্দিত।

প্রণব মুখার্জি ছাড়াও এবারে ভারতরত্ন খেতাব পাওয়া নানাজি দেশমুখ ভারতীয় জনসঙ্ঘের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পরে জনসঙ্ঘ থেকে উত্থান ঘটে ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি’র। ২০১০ সালে মৃত্যুবরণের আগে ১৯৯৯ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্ম বিভূষণ খেতাবে ভূষিত হন।

এছাড়া একই দিন ভারতরত্ন পেয়েছেন আসামে জন্ম নেয়া বাংলাভাষী প্রবাদপ্রতীম গায়ক ভূপেন হাজারিকা। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয় এই গায়ক ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।