কোরবানি নিয়ে যা করবেন না
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
মুসলিম উম্মাহর সার্বজনীন দু’টি উৎসবের অন্যতম হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদুল আজহার প্রধান আকর্ষণ পশু কোরবানি করা। মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়। কিন্তু প্রতিবছর কোরবানি আসলেই কিছু মানুষের মধ্যে অহেতুক বাড়াবাড়ি ও উন্মত্ততা দেখা যায়। এসব বাড়াবাড়ি ও উন্মত্ততা ধর্মসম্মত নয়। তাই জেনে নিন কোরবানি নিয়ে যেসব করা মোটেও উচিত নয়।
১. কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন না। পশুর দাম জিজ্ঞেস করবেন না, দাম প্রচার করে বেড়াবেন না।
২. দাম উল্লেখ করে ফেসবুকে পশুর ছবি আপলোড করবেন না।
৩. কোরবানির পশুতে কত কেজি গোস্ত হবে তার হিসাব করতে যাবেন না। পশু কিনে জিতেছেন না ঠকেছেন - এসব চিন্তা করে রাতের ঘুম হারাম করবেন না। কেননা কোরবানির পশুর দাম হয় না। এটা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
৪. কেউ পশুর দাম জানতে চাইলে বলুন, আল্লাহ যা সামর্থ্য দিয়েছেন তার মধ্যেই কেনার চেষ্টা করেছি।
৫. কোরবানির পশু কেনার পর বাজারদর যাচাই করে এ নিয়ে অহেতুক আলাপে যাবেন না। ‘দামে ঠকে গেছি’—এ ধরনের আফসোস করবেন না।
৬. কোরবানির গোশত যথাযথভাবে বিতরণ করুন। কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করতে হবে, শুধু এই উদ্দেশ্যে ফ্রিজ কেনার ভ্রান্ত মানসিকতা পরিহার করুন।
৭. খাদ্য উৎসবে মেতে উঠবেন না। খাবারে পরিমিতি বজায় রাখুন।
৮. পশুকে অহেতুক কষ্ট দেবেন না। পশুকে নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার ও পানি দিন।
৯. পশু জবাই, রক্ত, মাংস কাটাকাটি ও টেবিলভর্তি খাবারের দৃশ্য ফেসবুকে আপলোড করবেন না। মনে রাখবেন, লাখো মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
১০. জবাইয়ের সময় শিশুদের দূরে রাখুন। পশু জবাইয়ের দৃশ্য অনেক শিশুর মনে ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। জবাইয়ের সময় পশুকে অযথা কষ্ট দেবেন না।
১১. কোরবানির পর স্বার্থপরের মতো জবাইয়ের স্থানে বা রাস্তাঘাটে বর্জ্য রেখে চলে যাবেন না। সব বর্জ্য ও রক্ত গর্ত করে মাটি চাপা দিন, রক্ত ধুয়ে ফেলুন ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করুন। অথবা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য রাখুন।
একটা বিষয় মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনাকে কোরবানি করার সামর্থ্য দিয়েছেন বলে তা করতে পারছেন। তাই আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করুন।