ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ঈদুল আজহা উদযাপন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এসময় স্রষ্টার ক্ষমা, অনুগ্রহ এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেন তারা।
ঈদের প্রধান জামায়াত সকাল ৮টায় ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য ছিল আলাদা ব্যবস্থা।
দুই সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ঢাকায় ৫৮২টি স্থানে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতসহ ৩১২টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৭০টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৭টা, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টা, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টা এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদুল আজহার জামাতের আয়োজন করা হয়ে। এখানে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, জাতীয় সংসদের হুইপবৃন্দ, এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিগণ জামাতে অংশ নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় পবিত্র ঈদুল আযহার দু’টি জামাতের আয়োজন করা হয়। এখানে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল-আজহার নামাজের জন্য পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল-আজহা পালনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সেই সঙ্গে সড়ক, নদী ও রেলপথে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা এবং বাংলা ও আরবিতে ‘ঈদ মোবারক’ লেখা ব্যানারে সজ্জিত করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে কারাগার, হাসপাতাল, সরকারি শিশু কেন্দ্র, ছোটমনি নিবাস ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
পবিত্র ঈদুল-আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মহান আল্লাহর দরবারে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করেছেন।