‘যৌন হেনস্থা না করলেও অশ্লীল কথা বলত বাবা’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৯ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
সৎ বাবা মেয়েকে অশ্লীল ছবি দেখাতেন। অশালীন ইঙ্গিতও করতেন ১৯ বছরের মেয়েকে দেখে। মাতাল হয়ে মেয়েকে মারধর করার মতো সব অভিযোগই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করে জানিয়েছিলেন মা শ্বেতা তিওয়ারি। তবে অভিনেত্রী মায়ের করা এ সব অভিযোগ নিয়ে প্রথমে চুপচাপই ছিলেন পলক। কিন্তু সোমবার রাতে ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট করেন। আর সেই পোস্ট থেকেই জানা গেল, সৎ বাবা অভিনব কোহালি ঠিক কী কী করতেন তার মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে!
দুঃসময়ে যারা পাশে ছিলেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই পোস্টে পলক লিখেছেন, আমার কিছু জিনিস স্পষ্ট করে বলার রয়েছে। আমি পলক তিওয়ারি। একাধিক বার পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এভাবে শুরু করে পলক সরাসরি তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তোলেন।
তিনি লিখছেন, আমাকে মারা হলেও এর আগে আমার মাকে কখনই মারধর করেনি অভিনব কোহালি। যে দিন মা এফআইআর করে, সে দিনই মাকে মারধর করা হয়। এই প্রথম। এর পরেই পলক তার মা শ্বেতার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে লিখেছেন, আপনাদের কোনো ধারণা নেই, দু’টি বিয়েতেই আমার মাকে কী পরিমাণ অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। তাই খুব অল্প জেনে তা নিয়ে মন্তব্য বা আলোচনা করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই।
পলকের আরো বক্তব্য, সময় হয়েছে মায়ের পাশে দাঁড়ানোর। ওর মতো মনের জোর আমি আর কারো মধ্যে দেখিনি। নিজের চোখে মায়ের সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্ত দেখেছি আমি।
অভিনবের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে পলক লেখেন, আমাকে শারীরিকভাবে কখনোই নির্যাতন করেননি অভিনব। তবে তিনি ধারাবাহিকভাবে আমার প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করতেন যা বাবা হিসেবে একেবারেই অশোভনীয়।
পলকের ওই দীর্ঘ পোস্টের কমেন্ট সেকশনে নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, মায়ের পাশে এভাবে দাড়ানোর জন্য আমরা গর্বিত। আবার কেউ বা লিখেছেন, শক্ত থাকো পলক। তুমিই আমার অনুপ্রেরণা। তবে, এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি শ্বেতা।
২০১৩ সালে অভিনেতা অভিনব কোহালির সঙ্গে বিয়ে হয় শ্বেতার। ২০১৬সালে তাদের সন্তান হয়, রেয়ানশ। তবে তার আগে ১৯৯৮ সালে ভোজপুরী অভিনেতা রাজা চৌধুরীরকে বিয়ে করেছিলেন শ্বেতা। পরে রাজার বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতনের মামলা করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে রাজার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রাজা-শ্বেতার সন্তান এই পলক।