নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নৌকাকে সমর্থন বিএনপি নেতার, বিপাকে ধানের শীষের
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু চেয়ারম্যান।
২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটিতে শামীম ওসমানের নির্বাচনী সভায় নৌকায় ভোট চান তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর মনিরুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। মনিরুল আলম কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। স্থানীয় সূত্র বলছে, এর আগেও শামীম ওসমানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মনিরুলকে দেখা গেছে।
এদিকে বিএনপি একজন প্রভাবশালী নেতা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় ওই আসনের বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন ক্ষোভ। এমনকি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টুর কর্মীরা শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়তে হয়েছে। জয় নিয়ে পড়তে হয়েছে শঙ্কায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, ওই সভায় মনিরুল আলম ছাড়াও বিএনপির আরও লোকজন বক্তব্য দেন। শামীম ওসমানকে সমর্থন জানিয়ে তার জন্য জন্য ভোট চেয়েছেন মনিরুল আলম।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন (কুতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েতনগর, কাশিপুর ও বক্তাবলী) এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৯ জন। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে এ আসনেই সবচেয়ে বেশি ভোটার। জেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কুতুবপুরে মোট ভোটার পৌনে ২ লাখ।
বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর মতে, দলের নেতা–কর্মী-সমর্থকদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল আলম। তিনি এখন নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে দলের নীতি আদর্শের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। তাদের মত লোকদের কারণে দলের এই পরিণতি। তাদের উচিত দল ছেড়ে চলে যাওয়া। দলেরও উচিত এ ধরণের চিহ্নিত লোকদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘বিএনপির নেতা হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় দলের নেতাকর্মীরা হতবাক। তিনি কেন সেখানে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। দল তার কাছে জবাব চাইতে পারে।’
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, দলের পদে থেকে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি দল ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে গেছেন। এটা দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। এটা তিনি করতে পারেন না। দলের শীর্ষ নেতারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মনিরুল আলম বলেন, ‘শামীম ওসমান এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। যেহেতু আমাদের দলের কোন প্রার্থী এখানে নেই, তাই আমি তাকে সমর্থন জানিয়েছি।’