মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২০ ১৪৩১   ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারকাদের আপত্তিকর সম্পর্ক, উপার্জনও যেন আকাশচুম্বী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

টিভি তারকাদের সামনে আকাশচুম্বী অফার। একবার বিছানায় গেলে অঢেল পাউন্ড। ধনী অথবা খ্যাতনামা ফুটবলাররা তাদেরকে আহ্বান করছেন শয্যাসঙ্গিনী হতে। তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলেই বিনিময়ে ভুরি ভুরি টাকা।

এক একবার যৌন সম্পর্কের জন্য তাদেরকে প্রস্তাব করা হচ্ছে হাজার হাজার পাউন্ড। যা, টাকার অংকে অগণিত। বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ এ নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সেলিব্রেটি বিষয়ক এজেন্ট রব কুপার বলেছেন, এর আগের ‘লাভ আইল্যান্ড’ রিয়েলিটি শোতে যেসব প্রতিযোগী ছিলেন তারা ছিলেন বেশি বিপন্ন, বিশেষ করে যখন কর্মক্ষেত্রে তাদের কাজ ঝুলে যেতে থাকে, এমনকি কাজ চলে যেতে পারে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন তাদের সামনে এসব অফার বা প্রস্তাব হয় লোভনীয়।

 

এসব রগরগে শারীরিক আহ্বান সম্বলিত যুবতী তারকাকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ৪০০০ থেকে ২০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত প্রস্তাব করা হয়।

লরা গুজার এবং সোফি অ্যান্ডারটন তো নিশ্চিত করেছেন যে, তাদেরকে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ প্রস্তাব করা হয়েছে। মডেল সোফি স্বীকার করেছেন, তিনি এমন আহ্বানে ৫ বার সাড়া দিয়েছেন। শরীর বিলিয়ে আয় করেছেন ৫০ হাজার পাউন্ড। গত মাসে এও খবর বেরিয়েছে যে, কেটি প্রাইস ফুটবল তারকা অ্যাডাম জনসনের সঙ্গে রাত কাটিয়েছেন।

তার আগে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে তাকে ১২,০০০ পাউন্ড দিয়েছেন অ্যাডাম জনসন। তবে এই অর্থ যৌনতার বিনিময়ে দিয়েছেন এমনটা প্রমাণ নেই। এখানেই শেষ নয়। সেলিব্রেটিদের বিলাসবহুল বিদেশ সফরে সঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। তাতে শ্যাম্পেন ভর্তি প্রমোদতরীতে তাদেরকে স্বপ্নীল দুনিয়া দেখানোর স্বপ্ন দেখানো হয়।

মেগান মারকেলের বোন সামান্থার বিষয় ম্যানেজ বা দেখাশোনা করেন রব কুপার। তিনি বলেছেন, এখন অনেক তারকাই এসব যৌনতার প্রস্তাব গ্রহণ করছেন। কারণ, তাদের বেতনটা ঝুলে থাকছে।

 

তার ভাষায়, ২০১৩ ও ২০১৮ সালের মধ্যে এসব সেলিব্রেটি ও তারকাদের প্রতি অগ্রসরমান পুরুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল একটি মসৃণ গতিতে। কিন্তু এ বছরের শুরু থেকে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সেলিব্রেটিদের ভাড়া করার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের অনেক রিয়েলিটি তারকা বাস্তবেই আর্থিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন। এখন তারা সাধারণ একটি কাজ বা চাকরিতে যেতেও বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন।

সাবেক বেশকিছু সোপ তারকা, টোয়ি’র মতো রিয়েলিটি টিভি শো এবং লাভ আইল্যান্ডের তারকাকে চিনি, যাদেরকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেক সেলিব্রেটি তারকা বেছে নিচ্ছেন উচ্চ পর্যায়ের এসকর্ট সার্ভিস। এ জন্য তারা তাদের এজেন্টদের বলে দিয়েছেন তারা যেন, তাকে উচ্চ পর্যায়ের এসকর্ট সার্ভিসের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আয়ে সহায়তা করেন।

রব কুপার আরো বলেন, কমপক্ষে ১০ জন সেলিব্রেটিকে আমি চিনি। তারা তাদের এজেন্টদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক ‘ওয়াইফ অ্যান্ড গার্লফ্রেন্ড’ বা ডব্লিউএজি বলে খ্যাত কিছু যুবতী, গ্লামারাস মডেল, লাভ আইল্যান্ডের দু’জন নারী প্রতিযোগী, লাভ আইল্যান্ডের একজন পুরুষ প্রতিযোগী ও টোয়ি’র একজন তারকা।

 

রব বলেন, তাদেরকে প্রস্তাব করা হয় ৪,০০০ পাউন্ড থেকে ২০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত। কখনো কখনো তাদেরকে দুবাইয়ের এক্সক্লুসিভ অবকাশযাপন কেন্দ্রে বিলাসী ভ্রমণের প্রস্তাব দেয়া হয়। বিষয়টা যতই আনন্দের হোক, আসলে উদ্বেগের।

তবে দুবাইয়ে অনেক রিয়েলিটি তারকার ছবি ধারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতভাবে হচ্ছে। এর অর্থ এই নয় যে, তারা সবাই এইসব প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।