এবার স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং করলেন সেই রানু
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
লতা মঙ্গেশকরের একটি গান গেয়ে ভাইরাল হয়ে যান ভারতের নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনের গায়িকা রানু মণ্ডল। এরপর দ্রুত পাল্টে যায় তার জীবন। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সুখবর আসছে তার জীবনে।
এর আগে জীবনে কোনো দিন স্টুডিওতে গান রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না তার। রোববার দুপুরে জীবনে প্রথম বার পার্ক স্ট্রিটের একটি স্টুডিওতে পুজোর থিম-গান রেকর্ড করলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই।
তিনি জানালেন, প্রথম বার রেকর্ডিং স্টুডিওতে এসে একটু থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সব জড়তা কাটিয়ে উঠেছেন।
রেকর্ডিং স্টুডিও বাগুইআটির অর্জুনপুরের একটি ক্লাবের পুজোর থিম-গান গাইতে এসে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রানু।
তিনি বলেন, আমি তো শুনে শুনে গান করি। খাতা দেখে গান গাইতে পারি না। এই গানটা আমার পরিচিত গান ছিল না। গানের লাইনগুলো দেখে মনে হয়েছিল, হয়তো মুখস্থ করতে পারব না। কিন্তু বারবার শুনে শুনে গানটা আস্তে আস্তে সহজ হয়ে গেল।
রানু জানান, তার সহশিল্পী বিজয় শীল এবং ক্লাবকর্তারা তাকে এই গান গাইতে খুব উৎসাহ দিয়েছেন।
মাসখানেকের মধ্যে জীবনযাত্রা অনেকটাই পাল্টে গেছে রানাঘাটের রানুর।
রানু বলেন, আমি কোনো দিন কারো কাছে সে-ভাবে গান শিখিনি। রেডিও, টেপ রেকর্ডারে শিল্পীদের গান শুনে শুনে গান তুলেছি। গানের অনুশীলনের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এক বার গান শুরু করলে গাইতেই থাকেন। যেকোনো গান শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলি। তার পরে নিজে নিজে গুনগুন করতে করতে গানের সুর রপ্ত করার চেষ্টা করি।
এ দিন রানুর গান শুনে মুগ্ধ তার সহশিল্পী বিজয়ও। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের কাছে বিজয়ের চায়ের দোকান রয়েছে। দোকান চালানোর পাশাপাশি চলে গানের চর্চা।
বিজয় বলেন, ওর অসম্ভব সুরেলা গলা। কী দ্রুত গানটা তুলে ফেললেন।
রানু জানান, পুজোর গানের রেকর্ডিংয়ের পর মুম্বাই যাবেন।
রানু বলেন, প্রচুর শিল্পীর নাম মনে পড়ছে, যাদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু প্রথমেই যার সঙ্গে দেখা করতে চাই, তিনি হলেন লতাজি (লতা মঙ্গেশকর)। তার সঙ্গে দেখা করে এক বার তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাই।