সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একাধিক যৌন সম্পর্ক করলেন স্ত্রী, তবুও পাশে স্বামী!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪৩ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

পাঁচ বছর আগের কথা। প্রেমিকাকে ভালোবেসে উত্তরপ্রদেশের এক যুবক বলেছিলেন, ‘নিকাহ কবুল হ্যায়’। হয়ে গেল বিয়ে। এরপরই সেই স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। এ সমস্যার কারণে অন্য পুরুষের সঙ্গে নিজের অজান্তেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এ ঘটনায় স্বামীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। পরে ভুল বুঝে স্ত্রী নিজেই তালাক চেয়েছিলেন। কিন্তু বউ পাগল স্বামী বলেছিলেন, কোনো সমস্যা নেই। যা হওয়ার হয়ে গেছে। তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর অসুস্থতা জানতে পারে স্বামী। বহু জায়গায় চেষ্টা করেছেন। সবশেষ এসএসকেএমের ‘ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি’-তে ওই তরুণী কয়েক মাস চিকিৎসা নেন। সুস্থ হওয়ায় আপাতত স্বামীর মুখে হাসি ফুটেছে।

ইনস্টিটিউট অব সাইকায়াট্রি’র এক কর্মকর্তা জানান, ওই তরুণী নিম্ফোম্যানিয়াক ডিজিজ উইথ সাইকোটিক ডাইমেনশনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ রোগে শরীরে অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা তৈরি হয়। তরুণীর ক্ষেত্রে দ্বৈত সত্তা কাজ করত। 

 

তিনি আরো বলেন, অসুস্থ মানুষটি ঘোরের মধ্যে কী করছেন, কার সঙ্গে যাচ্ছেন, তা বুঝতে পারতেন না। উনি যে বিপদে পড়তে পারেন, সেই ভাবনাও মাথায় কাজ করত না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে অডিটরি হ্যালুসিনেশন বলে। 

বিয়ে প্রসঙ্গে ওই প্রেমিক যুবক জানান, একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর বিয়ে। প্রথম সাত মাস সব ঠিকই ছিল। একদিন হঠাৎ খুব হিংস্র হয়ে যায়। মনে হয়েছিল তার শরীরে কেউ যেন ভর করেছে। 

ওই যুবক আরো জানায়, অনুসন্ধান করে জানা যায়, আট বছর বয়সে তার স্ত্রীর চোখের সামনে এক ছেলে লরির চাকায় পিষ্ট হতে দেখেছিলেন। এরপর থেকে বিভিন্ন অদ্ভুত আচরণের সূত্রপাত। 

যুবক জানায়, তার স্ত্রী প্রায়ই বাড়ির লোকদের ছায়া নামে এক বান্ধবীর গল্প বলতেন। পরে খোঁজ নিয়ে ছায়া নামে কারো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার এটি কল্পনা ছিল। কয়েক মাস পরপরই হঠাৎ উগ্র হয়ে যেত। সেই সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করত।

 

স্বামী বলেন, অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেনে প্রথমে প্রায় দুই সপ্তাহ কথা বলিনি। যখন বুঝলাম ও অসুস্থ, তখন অভিমান দূরে রেখে ভালবেসেই বুকে জড়িয়ে ধরেছি!