সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোমল ত্বক ও সিল্কি চুল পেতে ঘি এর জাদুকরী ব্যবহার

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৪৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

রান্নাঘরের সবচেয়ে মূল্যবান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হলো ঘি। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঘি। যেমন- রান্নার মাধ্যমে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালানো ক্ষেত্রে, চিকিত্সার জন্য ইত্যাদি। ঘি স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর একটি উপাদান। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলেস্টেরল। 

তবে আপনি জানেন কি, ঘি ত্বক ও চুলের জন্য কতটা উপকারি? ঘি ব্যবহার করে কোমল ত্বক ও সিল্কি চুল পেতে পারেন। তাহলে জেনে নিন ত্বক ও চুলে ঘি ব্যবহারের সুবিধাসমুহ-

১. ঘি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন এ এবং ই, ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। যা ত্বকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের তৈলাক্ত ও আর্দ্রতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। ত্বক নরম করে তোলে।

২. রাতে মুখ পরিষ্কার করে মুখে ঘি লাগান। প্রায় তিন থেকে চার মিনিট ধরে মুখ ম্যাসাজ করুন। নরম ও মসৃণ ত্বক পেতে শোয়ার আগে সুতির নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন।

 

৩. চোখের ত্বক পরিষ্কার করে এক ফোঁটা ঘি লাগান। ১৫ মিনিট পর সুতির কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলুন। এটি চোখের বলিরেখা ও কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে।

৪. ওটস তিন চা চামচ, ঘি এক চা চামচ, মধু ও দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নরম ও উজ্জল ত্বক পাবেন। 

৫. ঘি ক্ষতিগ্রস্থ চুলকে পুনরায় চাঙ্গা করে তুলতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পণ্য ব্যবহারের ফলে চুলে শুষ্ক হয়ে যায়। ঘি তে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার ফলে এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এটি চুল নরম এবং মসৃণ করে তোলে। চুলে ঘি এক চামচ ব্যবহার করে চুলের গোড়ায় হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।

৬. ঘি এক চামচ ও নারকেল তেল এক চা চামচ এক সঙ্গে গরম করে মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মাথায় তোয়ালে মুড়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলে উন্নতমানের কন্ডিশনারের কাজ করবে।