সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফ্রিজেই রয়েছে চুলের সব সমস্যার দাওয়াই, জানেন কি?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

নিয়মিত পার্লারে গিয়ে চুলে স্পা করানোর সময় পান না নিশ্চয়ই! আবার ঘন ঘন পার্লারের রাসায়নিক জিনিসপত্র চুলে ব্যবহার করলে তা ক্ষতিও করে চুলের। এদিকে চুল সেসব শুনলে তো! একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করলেই রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকির হানা, নইলে চটচটে হয়ে গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার বিরামও নেই। অগত্যা দিন দুই অন্তর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিংয়েই শান্ত রাখতে হয় তাকে।

তবে চুলের প্রকৃতি ও বাইরে বেরনোর প্রবণতার উপর নির্ভর করে চুলের যত্নের গল্প। চুলের হাজারো সমস্যাকে আয়ত্তে রাখতে শুধুই যে শ্যাম্পু-কন্ডিশনিংয়ে আস্থা রাখলেই হয়, এমনটা নয়। তাই বাড়িতেও প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিয়ে থাকেন অনেকেই। জানেন কি, ফ্রিজে রাখা কী কী উপাদানে সহজেই সারাতে পারেন চুলের বেশির ভাগ সমস্যা?

ডিম: চুলে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে, রুক্ষ ভাব সরিয়ে চুলকে নরম করতে ডিমের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকর। চুলের বেশিরভাগ প্যাকে ডিম যোগ করার উল্লেখ থাকে। ডিম ভেঙে মেখে নিন চুলে। মিনিট কুড়ি রেখে শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক সপ্তাহ যেতেই চুলের জেল্লার ফারাকটা বুঝতে পারবেন। খুশকি সরাতেও খুব কাজে আসে ডিম।

 

দই: টক দই সব চুলের জন্য ভাল নয়। চুল পাতলা ও রুক্ষ হলে এটা ব্যবহার করবেন না। কিন্তু চুল যদি স্বাভাবিক ও মোটা হয় তা হলে দই ব্যবহার করুন অবশ্যই। দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান চুলকে ঝলমলে করার পাশাপাশি চুলের পুষ্টিরও জোগান দেয়।

আপেল সিডার ভিনেগার: খুব চুল পড়লে এই উপাদানটিই আপনার চুলের কন্ডিশনিংয়ের জন্য আদর্শ। শ্যাম্পুর পর আপেল সিডার দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। এতে চুল পড়া কমার সঙ্গে চুলের গোড়া মজবুতও হবে।

লেবু: খুশকি রুখতে অ্যাসিটিক অ্যাসিডের ভূমিকা অনেকটাই। তাই খুশকি কমাতে উষ্ণ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস। এই মিশ্রণ দিয়ে ম্যাসাজ করুন চুলে। ঘুমনোর সময় শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন।