বিপদ থেকে বাঁচতে, আইন-কানুন জেনে বিয়ে করুন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:০৫ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
প্রত্যেকের জীবনেই বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এর মাধ্যমেই দুজন নারী-পুরুষ একসঙ্গে বসবাসের অনুমতি পায়। আর পৃথিবীতে গড়ে তোলে সুখের এক টুকরো নীড়। দুটি ভিন্ন সত্ত্বা নানান ইস্যুতে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে চলে দুজনেই।
তবে বিয়ে একটি সামাজিক চুক্তি। সব ধর্মেই বিয়ের মাধ্যমে নারী-পুরুষের যৌথ জীবন উপভোগের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভ্ন্নি দেশে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম-কানুন রয়েছে। আমাদের দেশেও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন। তাই বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষের জন্য দেশে প্রচলিত আইনের কিছু বিষয় জানা গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই নিয়ম-কানুনগুলো-
• বিয়ের সময় আইন অনুযায়ী উপযুক্ত পাত্রের কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। আর কনের বয়স কমপক্ষে ১৮ হতে হবে।
• এর কম বয়স হলে ‘বাল্যবিয়ে’ বলে ধরা হবে, যা বেআইনি।
• বিয়ের এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষ তা গ্রহণ করবে।
• বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে।
• বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত ‘কবুল’ শব্দটি স্পষ্টভাবে বলতে হবে। এছাড়া উভয়ে কোনো রকম চাপ বা প্ররোচনা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে।
• একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।
• মুসলিম আইন অনুযায়ী কোন পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়।
• কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের শর্তগুলো উল্লেখ থাকবে।
• বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখতে হবে।
• পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা ও আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
• বিয়ের বিষয়টি কাগজ-কলমে লিখে রাখাই রেজিস্ট্রেশন। এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়েসংক্রান্ত দলিল, যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে।
• মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪) অনুযায়ী, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
• অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ নামে কোন বিধান নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি শুধু বিয়ের ঘোষণা।