নার্ভাসনেস দূর করার কৌশল
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
অনেকেই আছেন খুব অল্পতেই নার্ভাস হয়ে যান। আবার কেউ কেউ নতুন কাজ শুরুর আগে নার্ভাস থাকেন। কিংবা নতুন কোন মানুষের সঙ্গে আলাপের সময়ও অনেকে নার্ভাস হয়ে পড়েন। তা যদি হয় বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে তবে তো আর কথাই নেই! আর চাকরির ইন্টারভিউতে নার্ভাস থাকায় সবকিছু গুলিয়ে ফেলেন অধিকাংশ মানুষই।
এই নার্ভাস অনেক সময় আপনার ব্যক্তিত্বকে ম্লান করেও দিতে পারে। আবার নার্ভাসের জন্য আপনি অনেক কিছু থেকে বঞ্চিতও হতে পারেন। যার ফলে এই নার্ভাস কাটিয়ে ওঠা খুবই জরুরি।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক এর সঙ্গে মোকাবিলা করার কয়েকটি অব্যর্থ উপায়-
১. দিনের কিছুটা সময় ব্যায়ামের জন্য রাখুন। নিয়মিত ব্যায়ামে শরীরে ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয়। ফলে সহজেই আপনার স্ট্রেস কেটে যাবে। শরীর ও মনে উৎফুল্লতা আসবে জড়তাও কাটবে।
২. প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট ধ্যান বা মেডিটেশন করুন। এতে অবসাদ, উৎকণ্ঠা, অনিদ্রা সহজেই কেটে যাবে। ফলে আপনার ভেতর স্থিরতা আসবে।
৩. কখনও যদি নার্ভাস বোধ করেন তখন ঠোটের ওপর আলতো করে আঙুল বোলাতে থাকুন। আমাদের ঠোটে অনেক প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্তু থাকে। ঠোটের ওপর আলতো করে আঙুল বোলালে এসব স্নায়ুতন্তু ক্রিয়াশীল হয়ে উঠে ও স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
৪. যখন নার্ভাস বোধ করবেন তখন বুক ভরে গভীরভাবে শ্বাস নিন। বড় বড় শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। যতটা সময় নিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন, তার দ্বিগুণ সময় ধরে শ্বাস ছাড়ুন। দেখবেন অনেকটা স্বাভাবিক বোধ করছেন।
৫. প্রাণ খুলে হাসুন। হাসলে ভাল হরমোন বেশি মাত্রায় ক্ষরিত হয়। যার ফলে অবসাদ, উৎকণ্ঠা সহজেই কেটে যায়।
৬. যখন খুব নার্ভাস লাগবে তখন পছন্দের গান শুনুন, সিনেমা দেখুন বা বই পড়ুন। অথবা ভালো কোনো দৃশ্যের স্মৃতিচারণ করুন। যার ফলে মনের উৎকণ্ঠা ধীরে ধীরে কেটে যাবে।
৭. নাচ, গান, ছবি আঁকা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বাগান করা বা রান্না করার মতো কাজ আপনাকে নার্ভাস থেকে দূরে রাখবে। এগুলো সহজেই অবসাদ ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে দেয়।