কানের কটন বাডের খোঁচায় হতে পারে মৃত্যু
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
কানে অস্বস্তি হলেই মানুষ কটন বাডস খুঁজেন। এই কটন বাডের মাধ্যমে কানে সুঁড়সুঁড়ি দিয়ে আরামও পেয়ে থাকেন। মানুষের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে কিছু বাণিজ্যিক সংস্থা তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের কটন বাডস। কিন্তু আপনি জানেন কি এই কটন বাডস কানের কতোটা ক্ষতি করছে?
সম্প্রতি কটন বাডের ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা বেশ ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতোই। তাদের রিপোর্ট বলছে, প্রতিবছর বিশ্বে এতে মারা যায় প্রায় সাত হাজার মানুষ। বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় এ অঙ্ক নগণ্য হলেও ভবিষ্যতে এই সংখ্যা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে চিন্তিত আছেন চিকিৎসকরাও।
চিকিৎসকদের মতে, কটন বাডের তুলা অসাবধানতায় কানে ঢুকে গিয়ে মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের সাহায্যও নিতে হয়। শুধু তাই নয়, কটন বাডসের খোঁচায় কানের তরুণাস্থিও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। যার ফলে দুর্বল হচ্ছে শ্রবণশক্তি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কানের ভেতর যেটুকু ময়লা থাকে, তা আদতে কানের ভেতরের পর্দাকে রক্ষা করে। খুব জোরে আওয়াজ, কাছ থেকে ফুঁ দেওয়া বা বাইরের কোন আঘাত-এসব থেকে কানের পর্দাকে রক্ষা করে এই ময়লা।
তাদের মতে, কানের ভেতরের আঠালো পদার্থ আমাদের কানের জন্য ভাল। এসব কানের পর্দাকে বাইরের সংক্রমণ ও ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে। কানে ময়লা বেশি জমে যাওয়ার ধারণাটি একেবারেই ভুল। যেটুকু ময়লা অতিরিক্ত থাকে তা কান নানাভাবে বের করে দেয়। এর জন্য আলাদাভাবে খোঁচাখুঁচির দরকার হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীর একটা নির্দিষ্ট ওজনের পর ময়লা নিজের ভেতরে রাখে না। এ জন্য তারা কান ভেতর থেকে পরিষ্কারের পরামর্শও দেন না। কান পরিষ্কারের এমন বাতিক থেকে না-কি অনেকে শ্রবণশক্তিও হারান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কটন বাড ময়লাকে কানের পর্দার কাছে ঠেলে দেয়। যার ফলে আঘাত লাগে কানের নরম টিস্যুতে। কান যেহেতু শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে, তাই বাডসের প্রভাবে শ্রবণশক্তি ক্ষয় হওয়ার পাশাপাশি শরীরের সাম্যও নষ্ট করে।