যে কারণে মনোবল ভেঙে যাচ্ছে সৌদি সেনাদের
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
সম্প্রতি সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের কিং খালেদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কাসেফ-২ ড্রোন দিয়ে সৌদির ওই বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। এ হামলায় একাধিক ড্রোন অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন হুতি আন্দোলনের মুখপাত্র ইয়াহয়া সারি।
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্যাট্রিয়টের উপর নির্ভর করার পরও সৌদি আরব ইয়েমেনের ওই ড্রোন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এতে করে বর্তমানে সৌদি আরবের সেনাদের নৈতিক মনোবল অনেকটাই ভেঙে গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের গোয়েন্দা রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আমিরাতের ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট গত মে মাসে তৈরি করা হয়েছে এবং আরব আমিরাতের নেতৃত্বে সুনির্দিষ্ট কিছু পর্যায়ে তা বিতরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট তৈরি করেছে এমিরেটস পলিসি সেন্টার বা ইপিসি।
আরব আমিরাতের গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন সনাক্ত করতে সক্ষম নয়, কারণ এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ ও মধ্যম পাল্লার স্কাড ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরোধ করার জন্য। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যর্থতার উদাহরণ হিসেবে একটি ঘটনা তুলে ধরেছে আমিরাতি রিপোর্ট।
এতে বলা হয়েছে- সৌদি আরবের নাজরান বিমানবন্দরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকার পরও ইয়েমেনি ড্রোন হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে যে, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইয়েমেনি ড্রোন মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, জানুয়ারি হতে মে মাসের মধ্যে সৌদি আরবের উপর অন্তত ১৫০ বার ড্রোন হামলা হয়েছে। আগে যা বলা হয়েছিল এ সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। সৌদি আরব এসব ড্রোন ধ্বংস করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ইয়েমেন এসব ড্রোন যেসব স্থাপনায় রাখে বলে সৌদি আরব সন্দেহ করে বিমান হামলা চালিয়েছে কিন্তু সেসব হামলা একেবারেই সফল হয়নি।