সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজ কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

আজ শনিবার কাশ্মীর যাচ্ছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ ভারতের ১০ রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করার পর কাশ্মীরের পরিস্থিতি জানতেই তাদের এই সফর।

এই প্রতিনিধি দলে রাহুল গান্ধী ছাড়া আরও রয়েছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কেসি বেণুগোপাল, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) নেতা ডি রাজা, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএম-মার্ক্সবাদী) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, দ্রাভিদা মুনেত্রা কাজাগামের (ডিএমকে) তিরুচি সিবা, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) মনোজ ঝাঁ, তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) মজিদ মেনন ও ধর্মনিরপেক্ষ জনতা দলের (জেডিএস) কুপেন্দ্র রেড্ডি।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পর জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্ত জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন কোনোভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর আগে কংগ্রেস নেতা সাংসদ গুলাম নবি আজাদ দুবার কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ফিরে আসতে হয় তাঁকে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই সাংসদ ডি রাজাও কাশ্মীরে ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হন।

 

এদিকে কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ রদের পরই রাজ্যটির অন্যতম বিরোধী নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখার পর গ্রেফতার করা হয়েছে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের গণতন্ত্র বিপন্ন। সেখানকার মানুষ নিপীড়িত। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার সেই খবর সামনে আসতে দিচ্ছে না।’

রাহুলের এ অভিযোগের পরই জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীর গিয়ে কাশ্মীরবাসী কেমন আছেন, তা দেখে আসতে বলেন। রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যেন এসে দেখে যান, কাশ্মীরবাসী কেমন আছেন।’

এমন পরিস্থিতিতে আজ কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। তবে রাহুল গান্ধীসহ ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের শ্রীনগর যাত্রা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

এক টুইট বার্তায় প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘ভারত-পাক সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা উচিত নয় বিরোধী দলগুলোর প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের।’

টুইটে আরও বলা হয়, ‘শ্রীনগরে গিয়ে মানুষকে সমস্যায় ফেলবেন না। কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত করা উচিত নয়। জম্মু-কাশ্মীরের শান্তিরক্ষা ও মানুষের জীবন বাঁচানোই এখন অগ্রাধিকার পাবে। এটা বোঝার চেষ্টা করুন।’