মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রোববার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এতে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কর্মকর্তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রতিরোধে নিবিড়ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

শনিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে, যাতে তাদের কর্মস্পৃহা আরো বিকশিত হয়। নতুন উদ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধে নিজেদের দৃঢ়ভাবে আত্মনিয়োগ করে।

 

তিনি বলেন, এই কাজে স্থানীয় জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগ বা সংস্থার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তাদের সহযোগিতা নিয়ে সমন্বিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। কমিশনের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম হবে অর্ন্তভুক্তিমূলক। কমিশন নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। সবাই একই ছাতার ছায়ায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেবেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিরোধ অনুবিভাগের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি টাইম-বাউন্ড কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি মনিটরিং এবং এভালুয়েশন করতে হবে। কারণ দুর্নীতি প্রতিরোধ দুদকের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি ম্যান্ডেট। এর সঙ্গে ভবিষ্যত প্রজন্মের মূল্যবোধ ও নৈতিকতার বিষয়টি জড়িত। বর্তমান প্রজন্ম যদি সঠিকভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের মনে সুনীতি, চারিত্রিক সততা, নৈতিক মূল্যবোধ গ্রোথিত করতে না পরে তাহলে আলোকিত প্রজন্ম সৃষ্টি হবে না। যা হবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সীমিত সাধ্যের মধ্যেও প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ বিকশিত করা লক্ষ্যে বহুমাত্রিক কার্যকক্রম পরিচালনা করছে। উত্তম চর্চার বিকাশে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচানা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এ জাতীয় উত্তম চর্চামূলক কাজে নিয়োজিত রাখছে।

 

কর্মশালায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, দেশের সরকারি প্রতিটি ওয়েব সাইটে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ প্রদর্শিত হচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব খন্দকার সাদিয়া আরফিন জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়নে দুদকের করণীয় সম্পর্কে একটি পেপার উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় দুদক সচিব বলেন, শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে দুদক দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ছুটির দিনে আইসিটি বিভাগের সচিব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক কর্মশালা সফল হওয়ায় তিনি কমিশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

এই কর্মশালায় দুদকের ৮টি বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ও ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।

 

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমমুদ, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।