সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বর্ণের লোভেই আমাজনে আগুন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রোববার

আমাজনে আগুন লাগার পেছনে অবৈধ স্বর্ণ খনির বিষয়টিকে দায়ী করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে আমাজন। ছাই হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত এই বন। আল-জাজিরা তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্বর্ণের খনির খোঁজে নজিরবিহীনভাবে আমাজনে খনন কাজ চালাচ্ছে খনি ব্যবসায়ীরা। ব্রাজিলে এমন অবৈধ খনির সংখ্যা সাড়ে ৪শ'র বেশি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর বৈধ উপায়ে আমাজনের জঙ্গলে যে পরিমাণ সোনা বেচাকেনা হয়, তার চেয়ে ছয়গুণ (এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার) বেশি হয় অবৈধভাবে। আমাজনের ছোট্ট শহর ক্রিপুরিজাও থেকে প্রত্যেক দিন কয়েক ডজন ছোট বিমানে করে খনন মেশিনের যন্ত্রাংশ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয় গভীর জঙ্গলে।

খনন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছে আল জাজিরা। তারা বলেছেন তাদের সহজ-সরল ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের কথা। যেখানে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করা যায়। পরে তারা এই অর্থ মদ্যপান এবং পতিতালয়ে গিয়ে শেষ করেন। যখন একটি খনির কাজ শেষ হয়ে যায়, তখন জঙ্গলের অন্য অংশ ধ্বংস করে নতুন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান চলে।

 

তবে আল জাজিরার অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য কোনো নতুন বিষয় নয়। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাজন ধ্বংসের পেছনেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্বর্ণের খনিকে দায়ী করেছিল।