ফল দিয়ে ফেসিয়াল করবেন যেভাবে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৯ রোববার
উজ্জ্বল, কোমল ত্বক কে না চায়! সেজন্য নানারকম ক্রিম, লোশন কত কী-ই না মাখা হয়। পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল, মাসাজ- কত কী! কিন্তু জানেন কি, আপনার হাতের কাছেই আছে রূপচর্চার সহজলভ্য সব উপাদান। যেমন ধরুন, বিভিন্নরকম ফল প্রায় সব বাড়িতেই থাকে। সেসব ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
ফল দিয়ে সম্ভব নানা ধরনের রূপচর্চাও। এই ফল দিয়েই আপনি সেরে নিতে পারেন ফেসিয়াল। তাতে করে ছুটতে হবে না পার্লারে, সাশ্রয় হবে সময় এবং টাকাও। জেনে নিন ফল দিয়ে ফেসিয়াল কীভাবে করবেন-
ক্লিনজিং
প্রতিদিন তো পছন্দের সাবান কিংবা ফেসওয়াশ দিয়েই মুখ পরিষ্কার করেন, একটু ব্যতিক্রম কিছু হলে মন্দ কী! ফ্রিজে ঠান্ডা দুধ থাকলে একবার তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। দুধ কিন্তু ক্লিনজার হিসেবে খুব ভালো, এটি ত্বকের আর্দ্রতা বা পিএইচ ব্যালান্সও বজায় রাখে। তুলার বল ঠান্ডা দুধে ডুবিয়ে নিন, তারপর গোটা মুখে বুলিয়ে নিতে হবে চক্রাকারে। তার পর হালকা গরম পানিতে মুখটা ধুয়ে নিন।
এক্সফোলিয়েশন
ত্বকের মৃত কোষ দূর করা না গেলে ত্বক খুব সহজেই উজ্জ্বলতা হারাবে। তাই ভালো কোনো এক্সফোলিয়েটরের সাহায্যে ত্বকের মৃত কোষ দূর করুন। কিছুটা ওটমিল, দুধ, শুকনো লেবুর খোসা মিক্সিতে পিষে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে, গলায়, পিঠে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে ফের হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে চক্রাকারে মালিশ করে ত্বক পরিষ্কার করুন। এক্সফোলিয়েশনের পর আবার হালকা গরম পানিতে মুখ ধুতে হবে।
ব্লিচ
ব্লিচ সবসময় প্রাকৃতিক উপায়ে করাই ভালো। সেজন্য ব্যবহার করতে পারেন মধু কিংবা লেবুর রস। তবে লেবুর রস সরাসরি নয়, অল্প পানি মিশিয়ে পাতলা করে ব্যবহার করুন। মুখে লাগিয়ে অন্তত দশ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। অনেকেই আছেন যাদের ত্বকে ব্লিচ সহ্য হয় না, তারা এই ধাপটা বাদ দিতে পারেন।
স্টিম
লোমকূপের গোড়া ঠিকভাবে পরিষ্কার না হলে ত্বক স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাবে। তাই প্রথমে লোমকূপের গোড়া আলগা করে ময়লা বের করার পথ করে দিতে হবে। সেজন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্টিম। স্টিম করার জন্য একটি বড় বাটিতে ফুটন্ত ধোঁয়া ওঠা পানি নিন। মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রেখে মুখে ভাপ নিন পাঁচ মিনিটের জন্য। তবে যাদের ত্বক খুব স্পর্শকাতর তারা স্টিমের ধাপটি এড়িয়ে যেতে পারেন।
ফল দিয়ে ফেস প্যাক
পাকা কলা, কিউয়ি, পাকা পেঁপে, অ্যাভোকাডো বা টমেটোর মধ্যে যেটি ত্বকে সহ্য হয়, তার শাঁস বা রস বের করে নিন। তার মধ্যে মেশান মধু আর লেবুর রস। এই প্যাকটি মুখ লাগান এবং অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। তার পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে মুখে একবার মাসাজ করে নেবেন। ফলের ফেসিয়াল করার পর কৃত্রিম টোনার ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই, শসার রস লাগান তার বদলে। একেবারে শেষে গিয়ে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে চোখ ফেরাতে পারবেন না।