বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে: স্পিকার
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ২৬ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন বিশ্লেষণ করে তার আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি ঢাকা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়, অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। বঙ্গবন্ধু আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে গেছেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি দিন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তার সংগ্রামী জীবনের দিনপঞ্জিকা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ২৩ বছর আপসহীন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর নজরদারিতে ছিলেন। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাসের পরতে পরতেই মিশে আছে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ত্যাগ।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। জনগণের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন। তিনি অসীম সাহসিতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা এবং সংবিধান।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। বিশ্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে উন্নয়নের রোলমডেল। এ সময় তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে তারই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আত্মনিয়োগ করতে সবার প্রতি আহবান জানান।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোস এবং নার্গিস রহমান এমপি বক্তব্য রাখেন।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।