লালমনিরহাটে দেশেরপ্রথম এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৪১ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দরেই হচ্ছে দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়’।
একই সঙ্গে এখানে একটি বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এমনকি ভবিষ্যতে এখানে একটি বিমান তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ করতে লালমনিরহাটে আসেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন লালমনিরহাট-৩ আসনের এমপি জিএম কাদের, বিমানবাহিনী প্রধান মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল ফজলুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক সালমান ডেভিডসহ বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে হবে, তবে এর একটি শাখা রাজধানী ঢাকার আশকোনায় স্থাপন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের পশ্চাৎপদ, অবহেলিত এবং উপেক্ষিত জেলা হিসেবে লালমনিরহাটের মানুষের কল্যাণে এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
বিমানবাহিনীর প্রধান মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বলেন, লালমনিরহাটে অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি এখানে থাকবে বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কারখানা। এমনকি এখানে একটি বিমান তৈরির কারখানাও হতে পারে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শক সালমান হাসান ডেভিড ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, এয়ারক্রাফট নির্মাণ, মেরামত, স্যাটেলাইট নির্মাণ ও উৎক্ষেপণ, মহাকাশ গবেষণা প্রভৃতি প্রযুক্তিতে বিশ্বের উন্নত দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেলেও পরিকল্পনা এবং সাহসী পদক্ষেপে দেশে এই প্রথম একটি এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে সাতটি অনুষদ, ৩৭টি বিভাগ, চারটি ইনস্টিটিউট রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।