বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন জিয়া, বললেন প্রধানমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৩২ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিযোগ করে বলেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করলো। ট্রাইবুনাল বন্ধ করলো। মন্ত্রিসভা যখন গঠন করলো, সেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করলো, স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিলো। বিএনপির একটা কথা জানা উচিত, জিয়ার ক্ষমতা দখলকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে। এজন্য বিএনপির সৃষ্টিটাও অবৈধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছে তারা। আদর্শের রাজনীতি ধ্বংস করে খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। দেশে গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল বিএনপি ও জিয়াউর রহমান।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা নয়। এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের ইতিহাসকে একবারে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যত আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা মুছে দেওয়া হয়েছিল। একমাত্র বিটিভি ছিলো। সেখানে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না। একেবারে ইতিহাস থেকেই মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারবালায় যেভাবে নির্মম হত্যাকা- চালানো হয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যেন কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো ৩২ নম্বরে। ১৫ দিন আগে আমরা বিদেশে যাই। আমরা দুইবোন ভাগ্যক্রমে সেদিন বেঁচে যাই। বাংলাদেশের মানুষ এমন একটি মানুষকে হত্যা করল যে মানুষ তাদের দেশ দিলো, স্বাধীনতা দিলো।
বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে বিএনপি নেতারা নতুন সাফাই গাইতে শুরু করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা বলছে, ৭৫ সালে তো বিএনপি গঠনই হয়নি তাহলে বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিএনপি কিভাবে জড়িত হলো? কিন্তু বিএনপির যে প্রতিষ্ঠাতা, সেই জিয়াউর রহমান নিজেই খুনি। জিয়াউর রহমান শুধু খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল না, এই হত্যার বিচার হবে না সেই ব্যবস্থাও জিয়াউর রহমান করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ে যারা জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই ১৫ আগস্টের খুনিদের মদদ দিয়েছে। যেভাবে জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল সেভাবে খালেদা জিয়াও পুনর্বাসন করেছেন। এরশাদও খুনিদের মদদ দিয়েছে পুরস্কৃত করেছে। মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।