সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবৃদ্ধি শিগগিরই দুই অঙ্কে পৌঁছাবে: প্রধানমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৫৬ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার শিগগিরই দুই অঙ্কে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় রফতানি ট্রফি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

রফতানি বাণিজ্য খাতে গত অর্থবছরে দেশের অর্জন ৪৭ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছর এ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে সরকারের রোডম্যাপ তুলে ধরেন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী।

 

পরিবেশ রক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে শিল্প-কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলাধার সংরক্ষণে কারখানা মালিকদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পাঞ্চল আপনারা গড়ে তুলবেন, শিল্পান্নয়ন করবেন। সঙ্গে সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু থেকেই করতে হবে।

এছাড়া অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে দেশ এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। বিনিয়োগ সহজ করতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার কথাও জানান সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন রাজনৈতিক কূটনীতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দিতে হবে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার করার জন্য।

তিনি বলেন, এবারের যে প্রবৃদ্ধি আমরা অর্জন করেছি, আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল কখন কত প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছাবো। খুব শিগগিরই প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে যাবে।

 

যুবসমাজকে দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করতে সরকারের নানামুখী পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসা করতে নয়, ব্যবসার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে চায় সরকার। তৈরি পোশাক খাতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

রফতানিতে উৎসাহ জোগানোর পাশাপাশি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে ১৯৭৮ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে জাতীয় রফতানি ট্রফি। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানি বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২৮টি ক্যাটাগরিতে ২৯টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণপদক, ২১টি রৌপ্য ও ১৬টি ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত করা হয়। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।